আখাউড়ায় বন্যায় নিহত সুবর্নার পরিবারকে সরকারি সহায়তা

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ২৬, ২০২৪, ০৬:৩৪ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি ফলে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সকল আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।

বাড়িঘর থেকে বন্যার পানি নামলে মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। পানিতে ঘর ভেঙে যাওয়া মানুষ এখনো অন্যের বাড়িতে থাকছেন। কিছু মাটির ঘর নড়বড়ে হওয়ায় ঘরে উঠার সাহস পায় না মানুষ। আবার অনেকের আসবাবপত্র পানিতে ভেসে সমস্যা ভুগছেন। বীজতলা ও চারার ক্ষতি হওয়ায় দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষক। পুকুর থেকে মাছ ভেসে যাওয়ায় লোকসান নিয়ে চিন্তিত খামারিরা।

সোমবার দুপুরে সরেজমিন খোঁজ নেয়ার সময় এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে বন্যার পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার উপজেলার বীর চন্দ্রপুর গ্রামের সুবর্ণা আক্তারের স্বামী মো. পারভেজ মিয়াকে ২০ হাজার টাকার সরকারি সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।

সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি বিশ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।

এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস কুমার চক্রবর্তীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

একাধিকস্থানে সড়ক ও সেতু ভেঙে যাওয়ার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। আখাউড়ার গাজীর বাজার এলাকায় সেতু ভাঙার কারণে আখাউড়া-আগরতলা সড়কে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি জানান, একেবারেই ঘর নেই এমন পাঁচটি পরিবারের তালিকা করা হয়েছে। তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। বন্যার পানিতে ডুবে মারা যাওয়া সুবর্ণার স্বামীকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

ইএইচ