লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বন্যার্ত মানুষের ভরসা কলার ভেলা। যোগাযোগ-রান্নাবান্না, থাকা খাওয়া সবকিছুই তারা সারছেন কলার ভেলার উপর।
ত্রাণ বিতরণসহ বিভিন্ন কাজও ব্যবহার করা হচ্ছে এই কলা গাছের ভেলা। পর্যাপ্ত কলাগাছ না থাকায় ভেলাও তৈরি করতে পারছেন না অনেকেই।
গত টানা ১০ দিন ধরে ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে সৃষ্টি হওয়া বন্যার ভাসছে রায়পুর উপজেলা ১০টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ।
এসব এলাকার অল্প কিছু সংখ্যক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিলেও বাকিরা রয়েছেন ঘরে মাচা বেঁধে। অথবা পার্শ্ববর্তী উঁচু স্থানে। এই সুযোগটুকুও যাদের নেই তাদের যোগাযোগের প্রধান ভরসাই এখন কলার ভেলা।
যাদের একটু সাধ্য আছে তারা ডিঙি নৌকা সংগ্রহ করলেও অভাবী মানুষ কলার গাছের ভেলা তৈরি করে সারছেন তাদের যাবতীয় কাজকর্ম। অনেক এলাকায় কলা গাছের সংকট দেখা দিয়েছে। এই সুযোগে অনেকে চড়া দামে বিক্রি করছেন কলাগাছ।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে ঘরবাড়ি, চৌকি ও মাচান। অনেকের একমাত্র কলার গাছের ভেলাই ভরসা চলাচলের। বাঁধের রাস্তা ও উঁচু বিদ্যালয়ের দালান ঘরে এবং বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন অনেক বানভাসি।
ইএইচ