সিলেটের ওসমানীনগরে স্বর্ণ কিনতে গিয়ে নিখোঁজ আব্দুল জলিল (৪৮) নামের এক ব্যক্তির তিন দিন পর অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তিনি উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের জাহির উল্লার ছেলে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের দিলদার হোসেনের বাড়ির একটি টয়লেটের ট্যাংকি থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহত আব্দুল জলিলের ছেলে লায়েছ মিয়া (১৮) হত্যা মামলা করবেন বলে জানান।
আব্দুল জলিলের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ওসমানীনগর উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের আব্দুল জলিল তার ছেলের বিয়ের জন্য স্বর্ণ ক্রয় করতে তাজপুর বাজারে আসেন।
এ সময় তাজপুর বাজারের তাসনিম ভেরাইটিজ স্টোরের কর্মচারী চক ভাড়েরা গ্রামের কামরান আহমদ(২৫) ও কাদিপুর গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী ছালেক মিয়া (৩৫) তাদের কাছ থেকে কম মূল্যে স্বর্ণ ক্রয় করার প্রস্তাব দেন। এতে নিহত আব্দুল জলিল কামরান ও ছালেকের কাছ থেকে স্বর্ণ ক্রয় করার আগ্রহ প্রকাশ করে অগ্রিম দেড় লক্ষ টাকা প্রদান করেন।
২৫ আগস্ট বিকাল ৪টার দিকে আরো দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে চার ভরি স্বর্ণ নিজের হেফাজতে নিতে বাড়ি থেকে তাজপুর বাজারে আসার পর তিনি নিখোঁজ হন। নিখোঁজের তিন দিন পর কাদিপুর গ্রামের তবারক আলী তছিমের ছেলে ছালেক মিয়ার প্রতিবেশী দিলদার হোসেনের বাড়ির একটি পরিত্যক্ত টয়লেটের ট্যাংকি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের ধারণা– নিহত আব্দুল জলিলের কাছে স্বর্ণ বিক্রির কথা বলে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাতের জন্য ছালেক মিয়ার ঘরেই সংঘবদ্ধভাবে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে রাখা হয়। এ ঘটনায় ছালেক মিয়া ও তার স্ত্রী তামান্না বেগম, দোকান কর্মচারী কামরান আহমদ ও সানী নামের মোট চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে বলে স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রেসব্রিফিং করে জানানো হবে বলে জানান।
বিআরইউ