হামলা-ভাঙচুর-লুটপাটসহ ৪ জন গুরুতর আহতের ঘটনার ২১ দিন পেরিয়ে গেলেও বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযোগ দায়েরের ১৫ দিনেও মামলা নেয়নি।
সূত্র জানায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে কলসকাঠী ইউনিয়নে চাঁদাবাজি, পুকুরের মাছ চুরি, দোকান ও বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, দখলসহ নৈরাজ্য চালায় কিছু দুর্বৃত্ত। তাদের চাঁদাবাজি ও লুটপাট প্রতিরোধে বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খানের নির্দেশে কলসকাঠী ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধারণ জনসাধারণকে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য ৯ আগস্ট বিকাল ৩টার সময় লিফলেট বিতরণ করা হয়।
ওইদিন বিকাল ৫টার সময় কলসকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিলের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক এমপি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান।
অনুষ্ঠান বানচাল করতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন হাওলাদারের বড় পুত্র কামাল হোসেন হাওলাদারের নির্দেশে হাসান, আলাউদ্দিন, সাইফুল, বাঁধন, কামাল, আল আমিন, রেজাউল, হৃদয়, শাকিল, রিপন, সাব্বির, রিয়াজ, রনি, সোহাগ, আল আমিন, আলম, সজীব, খোকন, রাসেল, শাহিন, মনির, মামুন, রবিউর, রহিম, সোহাগ, খবিরসহ শতাধিক সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র রামদা, বগিদা, রড, হকষ্টিক ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে।
হামলায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাইদুল ইসলাম শামীম, কলসকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ নুরউদ্দিন, কলসকাঠী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন বক্স, কোঠা বিরোধী আন্দোলনের সদস্য সৈয়দ নাইমুর রহমান মিতুল গুরুতর আহত হন।
হামলাকারীরা অনুষ্ঠানের অতিথিদের আপ্যায়নের ১৫ শত প্যাকেট বিরিয়ানির নষ্ট করে ফেলে দেয়। এছাড়াও তারা ডেকোরেশনের মালামাল ভাঙচুর, মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে করে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে।
বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আফজাল হোসেন এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তদন্ত চলছে। অতি শীঘ্রই এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইএইচ