বন্যায় বিধ্বস্ত মুছাপুর রেগুলেটর, পুনর্নির্মাণের দাবিতে ফেনীতে মানববন্ধন

ফেনী জেলা প্রতিনিধি: প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪, ০১:২৩ পিএম

ফেনী ও নোয়াখালীর সংযোগস্থল ছোট ফেনী নদীর ওপর নির্মিত মুছাপুর রেগুলেটর পুনর্নির্মাণ ও সাহেবের ঘাট সেতুর দ্রুত সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় দুই উপজেলার বাসিন্দারা।

ভারতীয় পানি আগ্রাসনে সৃষ্ট বন্যার পানির চাপে কয়েকদিন আগে স্লুইসগেটটি ভেঙে যাওয়ায় কোম্পানিগঞ্জের সঙ্গে সোনাগাজী উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

শুক্রবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ ও সোনাগাজী উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে মুছাপুর রেগুলেটর এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে বন্যার পানির চাপে ধসে পড়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর স্লুইসগেট (রেগুলেটর)। পরে সেটি পুরোপুরি ধসে ছোট ফেনী নদীতে বিলীন হয়ে যায়। স্লুইসগেট ভেঙে যাওয়ার পর থেকে ছোট ফেনী নদীর দুই পাশে নতুন করে নদীভাঙন শুরু হয়।

এরপর বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) ছোট ফেনী নদীর ওপর নির্মিত সাহেবের ঘাট সেতুর পশ্চিম অংশের সংযোগ সড়কে ভাঙন দেখা দেয়। বর্তমানে সেতুর সংযোগ সড়ক ও দুই পাশ থেকে মাটির ব্লক সরে গিয়ে বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

মুছাপুরের পর এ সেতু দিয়েও নোয়াখালীর সঙ্গে সোনাগাজীর সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ, চট্টগ্রামগামী সবজিসহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহনের গাড়ি।

স্লুইসগেট ভেঙে যাওয়ার ফলে কুমিল্লার ডাকাতিয়া নদী হয়ে আসা উজানের পানি এবং চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট, ফেনী সদর, দাগনভূঞা, সোনাগাজীর একাংশ এবং নোয়াখালীর সেনবাগ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জমে থাকা বন্যার পানি সন্দ্বীপ চ্যানেলে সহজেই নেমে যেতে পারছে।

তবে সাগরের জোয়ারের পানিতে কোম্পানীগঞ্জ ও সোনাগাজী উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে দুই উপজেলার সড়ক যোগাযোগ।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জজ কোটের আইনজীবী মোমেনুল হক, স্থানীয় পশুচিকিৎসক এনায়েত উল্লাহ, সমাজপতি বেলাল হোসেন, স্থানীয় একটি  বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ ইউসুফ, মুছাপুর আদর্শগ্রাম সমাজের সভাপতি রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, যুগ্ম সম্পাদক নুর নবী প্রমুখ।

বিআরইউ