থাকেন বিদেশে চাকরি বহাল দেশে

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪, ০৬:১৮ পিএম

কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক নার্স ছুটি না নিয়ে বিদেশ চলে গেছেন। মাসের পর মাস ধরে হাসপাতালে অনুপস্থিত। তার হাজিরা খাতায় উপস্থিতিও নেই। এরপরও তার চাকরি বহাল ও বেতন চালু রয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী কোন কর্মদিবসে অনুপস্থিত থাকলেই ব্যবস্থা গ্রহণের কথা কর্তৃপক্ষের। কিন্তু মাসের পর মাস তিনি কর্মস্থলে না এলেও রহস্যজনক কারণে তার চাকরি বহাল এবং বেতন চালু রেখেছেন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ।

কর্মস্থলে অনুপস্থিত, চাকরি বহাল এবং মাসে শেষে বেতন নেয়া সেই নার্স হলেন রুবিয়া আক্তার (সিনিয়র স্টাফ নার্স) যার ইউনিক আইডি ২০২০০৫৪২৪৮১।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গত এক বছরেরও অধিক সময় ধরে তিনি বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে লাগাতার অনুপস্থিত রয়েছেন। পারিবারিক দিক দিয়ে খবর নিয়ে জানা গেছে তিনি বিদেশ চলে গেছেন।

তবে গোপন সূত্রে জানা যায়, প্রতি মাসের বেতন-ভাতার টাকা তার অ্যাকাউন্ট থেকে ঠিকই তুলেছেন তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি জানান, রুবিয়া আক্তার ছুটি নিয়ে যাননি। কিন্তু গত এক বছর ধরে কর্মস্থলে আসেননি। কেন আসেন না জানি না। হাজিরা খাতায় তাকে অনুপস্থিত দেখানো হয়। তারপরও কীভাবে সে বেতনভাতা উত্তোলন করেন আমার জানা নেই।

কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম হাসপাতাল কলেজের নার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট ফারজানা আহমেদ বলেন, আমার জানামতে সে গত এক বছর ধরেই অনুপস্থিত রয়েছেন। তবে কোথায় আছেন আমার জানা নেই।

তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে অন্য একটি সূত্র জানায় এখনো নার্সিং ডিজিকে এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানানোর কোন উদ্যোগ নেননি।

কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, কারো অনুপস্থিতিতে বেতন হওয়ার কথা নয়। তারপরও তারা যদি বেতন তুলে থাকেন তাহলে ক্ষমতার অপব্যবহার। তাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।

তিনি আরও বলেন, কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে ৩৩৩ জন নার্স রয়েছেন। প্রত্যেকের খবর নেয়া তো সম্ভব নয়।

এদিকে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে কর্মরত তার সহকর্মীরা জানান, সে বিদেশে অবস্থান করছেন। গত এক বছরেরও অধিক সময় ধরে আমরা তাকে হাসপাতালে দেখি নাই।

ইএইচ