দেশের বিভিন্ন জেলার ন্যায় চাঁদপুরে ফরিদগঞ্জ উপজেলার কৃষকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই উপজেলায় ৮-১০ দিন টানা ভারী বর্ষণের কারণে উপজেলা জুড়ে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকদের সকল ধরনের ফসল ফলাদী নষ্ট হয়ে যায়। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের খরিপ-২ মৌসুমে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে রোপা আমান ধানের উফশী বীজ, সার ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদানের উদ্বোধন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌলী মন্ডল।
ফরিদগঞ্জে কয়েকদিনের টানা বর্ষণে আমনের বীজতলা এবং রোপনকৃত চারা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। সরকারের নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছেন উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
রোববার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ২৯০০ কৃষকের মাঝে বীজ, সার ও নগদ টাকা বিতরণ করা হয়।
নুরে আলমের সঞ্চালনায় উপজেলা কৃষি অফিসার কল্লোল কিশোর সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌলী মন্ডল।
এ সময় তিনি বলেন- প্রাকৃতিক দুর্যোগ মানুষের হাতে নেই। যে ক্ষতি আমাদের হয়ে গেছে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করতে হবে। আপনাদের যে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে তা যথাযথ ভাবে কাজে লাগাতে হবে। কৃষি অফিসার যে পরামর্শ দিয়েছেন তা পালন না করলে আপনারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
কৃষি অফিসার কল্লোল কিশোর সরকার বলেন, আপনাদের আজ যে বীজ দেয়া হয়েছে তা ইতোমধ্যে হিমাগারে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে বের করে আনা হয়েছে। তাই এই বীজ ভিজানোর আগে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে এই ধান বীজতলায় ১৫-১৬ দিনের বেশি রাখা যাবে না। এটা বিশেষ বীজ। যা ১০০ দিনের মধ্যে এই বীজের ফসল আসে। যা আমন বীণা ১৭ নামে পরিচিত।
ইএইচ