গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে বাণিজ্যিকভাবে লাউ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়ন নিজপাড়া গ্রামের কৃষক আফসার আলী ও নজরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে কম খরচে লাউ চাষে লাভবান হচ্ছি। বাজারে লাউয়ের চাহিদা ভালো থাকায় দাম বেশি পাওয়ায় বেশি লাভ হচ্ছে। তাছাড়া বর্তমানে লাউ চাষে আধুনিক চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করায় ফলন বৃদ্ধির পাশাপাশি লাউ চাষে লাভবান হচ্ছে কৃষক।
বাংলাদেশে লাউ সাধারণত বাণিজ্যিক ও বাসাবাড়িতে চাষ হয়ে থাকে। প্রতিটি বাসা বাড়িতে পারিবারিক সবজির চাহিদা পূরণে কমবেশি সবজি চাষ হয়ে থাকে। তার মধ্যে লাউ অন্যতম। বাসা বাড়িতে অল্প জায়গা ব্যবহার করে সবজি চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শীতকালে লাউয়ের ফলন বেশি হয়। তবে উচ্চতাপ অতিবৃষ্টি সহিষ্ণু হওয়ায় লাউ সারা বছর চাষ করা যায়।
উন্নত জাতের লাউগাছ থেকে ৫৫-৬০ দিনে ফসল সংগ্রহ করা যায়। লাউ গাছে স্ত্রী ও পুরুষ ফুল দেখা যায়। স্ত্রী ফুলের গর্ভমুণ্ড থাকে পুরুষ ফুলে গর্ভমুণ্ড থাকে না। ফুলে দুই ভাবে পরাগায়ন হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক পরাগায়নের পাশাপাশি হস্তপরাগায়ন করলে ফলন বেশি পাওয়া যায়।
জাতভেদে শতাংশ প্রতি ১৫০-১৬০ কেজি লাউ সংগ্রহ করা যায়। প্রতিটি লাউ গাছের জীবন চক্রে ১৫-২০টি লাউ ধরে। লাউ কচি অবস্থায় সংগ্রহ করতে হয়। পরাগায়নের ১৫ দিন পরই লাউ খাওয়ার উপযুক্ত হয়। তাছাড়া লাউ বয়স্ক হলে শক্ত হয় লাউয়ের বীজ একটি সুস্বাদু খাবারও বটে।
ইএইচ