রাজবাড়ীর পাংশায় আশা লতা দাস (৭৫) নামে এক বৃদ্ধা মহিলাকে হাতুড়ি পেটা করে হত্যা করে স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগে বিশ্বজিৎ কুমার বিশ্বাস (২৫) কে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
নিহত আশা লতা দাস পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের প্রেমটিয়া গ্রামের মৃত সন্তোষ কুমার দাসের স্ত্রী। বিশ্বজিৎ কুমার বিশ্বাস একই গ্রামের সুজিৎ কুমার বিশ্বাসের ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজবাড়ী সিনিয়র দায়রা জজ মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভিন এ রায় প্রদান করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি ভোর রাতে পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের প্রেমটিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে আশা লতা দাসকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে তার স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়। এ ঘটনার ৩ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারী বিশ্বজিৎ কুমার বিশ্বাসকে লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার, হত্যার কাজে ব্যবহৃত হাতুড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জামাতা স্বপন কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, পুলিশের ও বিচারকের আন্তরিকতায় ২৬জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর আজ মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রদান করেছে। এ রায়ে আমি সন্তুষ্ট। এত দ্রুত বিচার হলে সমাজে অপরাধী হ্রাস পাবে ও মামলার জট কমবে।
রাজবাড়ি জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাড. উজির আলী শেখ বলেন, আশা লতা দাস বাড়িতে একাই থাকতেন। স্বর্ণালংকারের লোভে ২০২৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করে।
২৬জন সাক্ষী সবাই তাদের সামনে হত্যার কথা ও মালামাল উদ্ধারের সত্যতা প্রকাশ করায় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
বিআরইউ