গোয়ালন্দে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে খেয়াঘাট দখলচেষ্টার অভিযোগ

জাহিদুল ইসলাম শেখ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৪, ০৫:২৭ পিএম

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ছোটভাকলা  ইউনিয়নের অন্তার মোড় খেয়া ঘাটের বৈধ ইজারাদারকে হটিয়ে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে দখলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

জানা যায়, ছোটভাকলা ইউনিয়নের অন্তার মোড়ের ওই ইঞ্জিন চালিত ট্রলার নৌকাঘাট ইজারা নিয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা ছোটভাকলা ইউনিয়নের বিষ্ণু পাটনি ভোগ দখল করে আসছিলেন। ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের পর ৬ আগস্ট রাজবাড়ী সদর উপজেলা বরাট ইউনিয়নের চর বরাট গ্রামের কোমল সরদারের ছেলে মো. মিনাল সরদার ও গোয়ালন্দ উপজেলা ছোটভাকলা ইউনিয়নের ওবায়দুল সরদারের ছেলে মিজানুর রহমান নিয়ন তাদের দলবল নিয়ে খেয়া ঘাটে এসে বিষ্ণুকে তাড়িয়ে দিয়ে খেয়া ঘাটের দখল নেয়।

এরপর হতে বিষ্ণু ওই খেয়া ঘাট মিনাল ও নিয়নের দখলে।

এ বিষয়ে বিতাড়িত হওয়া ইজারাদার বিষ্ণু তার নামে ছোটভাকলা ইউনিয়ন থেকে পাওয়া তার নামীয় কাগজপত্র দেখিয়ে জানান, আমার পূর্বপুরুষ হতে বংশানুক্রমে প্রায় ১৫০ বছর যাবত সরকারি বিধি অনুযায়ী আমরা এই ঘাটের ইজারাদার। কেউ কখনও আমাদের বাধা দেয় নাই। হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরের দিন হঠাৎ মিনাল ও নিয়ন তাদের লোকজন নিয়ে এসে বিএনপির কথা বলে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়।

স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির নেতা ইসমাইল হোসেন মোল্লা বলেন- মিনাল ও নিয়ন বিএনপির কেউ নয়। ওরা রাজবাড়ী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গোয়ালন্দ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদ চৌধুরীর লোক। ওরা ছাত্রলীগ যুবলীগের সদস্য। এতোদিন আওয়ামী লীগের দাপটে লুটপাট করেছে। আওয়ামী লীগ পতনের পর রাতারাতি ভোল পাল্টে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে  লুটপাট ঠিক রাখার চেষ্টা করছে।

অভিযুক্ত মিনাল সরদার মুঠোফোনে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি এসবের কিছুই জানি না।

এ বিষয়ে ছোটভাকলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, আমার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বিষ্ণুকে ওই খেয়া ঘাটের ইজারা দেয়া হয়েছে। তারা বংশানুক্রমে দীর্ঘদিন ধরে ওই ঘাটের ইজারাদার। তাদের কেউ তারিয়ে দিলে এটা অন্যায় করা হয়েছে।

ইএইচ