বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মারধর, হত্যা, জনসাধারণের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে কালাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকসহ ৯২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া আরও ২০০ থেকে ৩০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) জয়পুরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটির আবেদন করেন কালাই উপজেলার ঠাকুরপাড়া তালোড়া বাইগুনী গ্রামের তোতামিয়া প্রধান নামে এক ব্যক্তি।
আদালতে বিচারক আবেদনটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করতে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে দৈনিক আমার সংবাদকে নিশ্চিত করে কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াসিম আল বারী বলেন, আদালতের নির্দেশে কালাই থানায় মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, কালাই উপজেলা পরিষদেও অপসারণ হওয়া চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনফুজুর রহমান মিলন, কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াজেদ আলী, পুনট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস ফকির, কালের কণ্ঠ পত্রিকার জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি আলমগীর চৌধুরী ও বেসরকারি টেলিভিশন নাগরিক টিভি জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি মাহফুজার রহমানসহ আরও অনেকে।
এজাহারে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট কালাই উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ও বিসমিল্লাহ হোটেলের সামনে প্রধান সড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মারধর, হত্যাসহ জনসাধারণের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে আসামিরা অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও দেশে অরাজকতা তৈরি করতে পরিকল্পনা করেন।
তারা ককটেল, লোহার শাবল, শামুরাই, হাসুয়া, লাঠি, লোহার রড, পেট্রোল বোমা, কেরোসিন ও প্রাণঘাতি অস্ত্রশস্ত্র হাতে নিয়ে মামলার বাদী ও স্বাক্ষীদের হত্যার উদ্দেশ্যে ঘেরাও করেন।
এসময় তারা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেন। এতে বাদীর মুখসহ দুই হাত ও হাঁটু থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত এবং তোফেল উদ্দিন নামে একজনের হাটুর নীচ থেকে দুই পা পর্যন্ত ঝলসে যায়। জুলকার নামে আরেকজনকে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে তার মুখসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গা ঝলসে দেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আসামিরা পালিয়ে যায়।
বিআরইউ