সিলেটের হযরত শাহপরাণ (রহ.)- এর মাজার এলাকায় পাগলের বেশধারীদের সঙ্গে স্থানীয় মুসল্লিদের সংঘর্ষ হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এ হামলা হয়।
এ সময় মাজারের খাদিমদের দান-সদকা সংগ্রহের বৈঠকখানাসহ মাজার অফিসে ভাঙচুর চালানো হয়।
পরে মুসল্লি ও ছাত্র-জনতা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুললে পাগলের বেশধারী হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এ সময় হামলায় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পরে সেনাবাহিনীর একটি টিম এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
হামলার বিষয়ে হযরত শাহপরাণ (রহ.)- এর মাজারের খাদিম সৈয়দ কাবুল আহমদ বলেন, গান-বাজনা না করার পক্ষের হুজুররা মাজারের সামনের সিঁড়িতে বসে জিকির করছিলেন। পরে তৃতীয় একটি পক্ষ রাতে পাগল বেশধারীদের উসকানি দিলে তাদের ওপর ঢিল মারা হয়। মারার পর হুজুরদেরকে দ্রুত মসজিদের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হুজুররা বিভিন্ন মাধ্যমে জানান যে তাদেরকে মাজারে পাগলরা বন্দি করে রেখেছে। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন এলাকা থেকে তৌহদি জনতাসহ স্থানীয়রা প্রতিরোধ গড়লে পাগলের বেশধারী হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, এর মধ্যে কিছু দুষ্কৃতকারী মাজারের মহিলা ইবাদতখানাসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর করে। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশেনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ বছর সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাজারে ওরসের নামে নাচ-গান-মদ-জুয়া, গাঁজা, অশ্লীলতা, নারী-নৃত্যসহ যাবতীয় অসামাজিক-অনৈতিক ও অনৈসলামিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করেছিলাম। সব কিছু সুন্দর ছিল। কিন্তু সোমবার গভীর রাতে শতাধিক পাগলবেশী লাল কাপড় পরা লোক মিছিল শুরু করে। তখন আমি নিজেই ওই স্থানে গিয়ে মিছিলকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করি।
ইএইচ