মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে চিকিৎসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ কিন্তু এই চিকিৎসা নিয়ে নাকানি-চুবানি খাচ্ছে শ্যামনগর উপকূলের সাড়ে তিন লাখ মানুষ৷
উপজেলা সরকারি হাসপাতালে সুচিকিৎসা না থাকায় প্রাইভেট ডাক্তার দেখাতে লাগছে মোটা অঙ্কের টাকা৷ যা উপকূল অঞ্চলের এই সব মানুষের পক্ষে অসম্ভব৷
অপরদিকে উপজেলা হাসপাতালে আবশ্যক ডাক্তার না থাকা ও নির্দিষ্ট কোন ফি না থাকায় যত্রতত্রভাবে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে শহরের ডাক্তাররা৷
বিশেষ সূত্র জানা গেছে, বড় একটি সিন্ডিকেট এমন পরিস্থিতি তৈরি করে চিকিৎসা নিয়ে রমরমা ব্যবসায় মত্ত হয়েছে ৷
ঢাকা, খুলনায় সরকারি হাসপাতালে চাকুরিরত ডাক্তাররা ছুটির দিনে সরাসরি শ্যামনগরে এসে চিকিৎসা করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা ৷
হামিদা ২৫ নামের গর্ভবর্তী মহিলা জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার মত ভালো ডাক্তার না থাকায় প্রাইভেট ডাক্তারের কাছে এসেছি ৷ ডাক্তার সাতক্ষীরা থেকে এসেছেন। ১৫ জন সিরিয়ালে বসে আছি প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে৷ ডাক্তার রোগী দেখছেন ৷ ফির বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৭শ টাকা ফি দিয়েছি ৷
আফসার (৬০) নামের একজন বৃদ্ধ বলেন, মেরুদণ্ডের হাড়ের সমস্যার কারণে সরাসরি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পি.জি হাসপাতাল) ঢাকা থেকে আগত ডা. শেখ সাদীউল ইসলামকে দেখাতে এসেছি৷ প্রথমবার পরামর্শ ফি হিসেবে ৭শ টাকা দিয়েছি ৷ পরে ৪টা পরীক্ষা দিয়েছেন৷
আফরোজা বেগম (৬৫) নামের একজন বৃদ্ধা বলেন, খুলনাতে ডাক্তার দেখিয়ে এসেছি৷ সপ্তাহে ২ টা ইনজেকশন নিতে বলেছেন ৷ এখন পায়ে ইনজেকশন দেওয়ার জন্য এসেছি ৷ দুই পায়ে দুইটা ইনজেকশন নিতে ২ হাজার টাকা দিতে হয়েছে৷ এক টাকা কম নেয়নি৷
শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নাজুক অবস্থাসহ ডাক্তার শূন্যতায় হিমশিম খেতে হয় তাদের৷ প্রয়োজনীয় ডাক্তার না থাকায় রোগীরা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন৷
ইএইচ