ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদত্যাগ

কারসাজি করে বেতন বিল জমা ও টাকা উত্তোলন, ডিসির কাছে অভিযোগ

নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪, ০২:২৩ পিএম

কুষ্টিয়ায় স্থানীয় একটি কলেজের (এমপিওভুক্ত) শিক্ষক-কর্মচারীদের ছাড়কৃত সরকারি অংশের বেতন-ভাতাদি বিল প্রকৃত সভাপতির সই ছাড়া করাসাজিতে বেআইনিভাবে রুপালী ব্যাংকে জমা ও বেতন উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মনোনিত গভর্নিং বডির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সই গোপন করে কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীর স্বাক্ষরযুক্ত জুলাই‘২৪ মাসের সরকারি অংশের বেতন বিল ব্যাংকে জমা দেন বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ চৌধুরী নুরুদ্দিন সেলিম।

এতে প্রতিবাদ করায় প্রাণনাশের হুমকিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কানিজ ফাতেমা পদত্যাগ করে থানায় জিডিসহ সেনা ক্যাম্প ও ডিসির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কুষ্টিয়া শহরের সৈয়দ-মাছ রুমী কলেজে অতি সম্প্রতি ঘটেছে ঘটনাটি।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, সরকার পরিবর্তনের পর গত ২০ আগষ্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারীকৃত পরিপত্রে স্কুল, কলেজের নিয়মিত গভর্নিংবডি/পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে এডহক কমিটি গঠনে নির্দেশ দেওয়া হয়। এডহক কমিটি গঠন না হওয়া পর্যন্ত জেলায় ডিসি/মনোনীত প্রতিনিধি ও উপজেলায় ইউএনও বেতন বিলে স্বাক্ষর দিবেন বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়।

তবে ২০২৪ সালের ৮ আগষ্ট মাছ-উদ রুমী কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীর জুলাই‘২৪ মাসের সরকারি অংশের বেতন বিল জমাকালীন পর্যন্ত বহাল ছিল কলেজের গভর্নিং বডির বিগত নিয়মিত কমিটি। কিন্তু তা সত্বেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যলয়ের পরবর্তী অনুমোদিত চিঠি ছাড়াই চতুরতার আশ্রয়ে ওই অধ্যক্ষ ব্যাংকে জমা দেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতার স্বাক্ষরযুক্ত বেতন বিল।

এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কানিজ ফাতেমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন দন্ডপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরুদ্দিন।

এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে কানিজ ফাতেমা কুষ্টিয়া মডেল থানায় জিডিসহ সেনা ক্যাম্প ও জেলা প্রশাসকের কাছ লিখিত অভিযোগ করেছেন।

কলেজের চৌধুরী অধ্যক্ষ নুরউদ্দিন সজল জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। তবে একটি মামলায় নিম্ন আদালতে দন্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পর তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন বলে জানান।

কুষ্টিয়ার রুপালী ব্যাংকের ম্যানেজার মুজিব আলম বিষয়টি স্বীকার করে জানান, গত ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তনের পর উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তিনশত টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার নামায় শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-বিল জমাসহ টাকা দেওয়া হয়েছে। এতে কোন ব্যত্যয় ঘটলে পরবর্তী মাসের বেতন থেকে টাকা সমন্বয় করা হবে বলে তিনি জানান।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান (শিক্ষা ও আইসটি) জানান, নতুন জেলা প্রশাসক শীঘ্রই যোগদান করবেন। তিনি যোগদানের পর স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমস্যাগুলো সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ইএইচ