শিক্ষা দিবস স্মরণে বরিশালে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় অশ্বিনী কুমার চত্বর থেকে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল মহানগর শাখার আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় অংশগ্রহণকারীরা ‘শিক্ষা অধিকার সবার’ এবং ‘সর্বজনীন, বিজ্ঞানভিত্তিক, বৈষম্যহীন, সেক্যুলার একই ধারার গণতান্ত্রিক পদ্ধতির শিক্ষা চাই ’ স্লোগানে সমর্থন জানিয়ে প্ল্যাকার্ড বহন করেন।
র্যালিটি নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নগরীর সদররোডস্থ কীর্তনখোলা মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক সুজন আহমেদ এর সভাপতিত্বে বক্তার বলেন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনে স্বৈরাচারী আইউব খান তার বাণিজ্যিকীকরণের শিক্ষানীতি থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়। এই আন্দোলনে শহিদ হয় মোস্তফা, বাবুল, ওয়াজিউল্লাহসহ আরো অনেকে।
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার বাণিজ্যিকীকরণের ওপর আলোচনা করে বলেন, ১৯৬২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ছাত্রজনতা শিক্ষার অধিকার, কাজের অধিকার, গণতন্ত্রের জন্য বারবার প্রাণ দিয়েছে। কিন্তু শোষণমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বারবার সেই স্বৈরাচারী দুর্নীতিগ্রস্ত লুটপাটের শাসনব্যবস্থাকেই পুনঃস্থাপন করেছে।
এসময় বক্তারা মহান শিক্ষা দিবস থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্খাকে ধারণ করে সামনের দিনে শিক্ষা, গণতন্ত্র ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য লড়াই জারি রাখতে ছাত্রদের প্রতি আহবান জানান।
আলোচনা সভায় এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ বরিশাল জেলার সমন্বয়ক ডা. মনীষা চক্রবর্তী, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ কমরেড ইমাম হোসেন খোকন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বরিশাল মহানগর শাখার অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ফারজানা আক্তার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সরকারি বরিশাল কলেজের সংগঠক শিবানী শিকদার, সরকারি ব্রজমোহন কলেজ সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সংগঠন সেঁজুতি হালদারসহ প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী করা হয়।
বিআরইউ