৭ দফা দাবি

পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের মানববন্ধন

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪, ০১:৫৮ পিএম

পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ১৩০ পরিবারের সদস্যদের চাকুরি, বিদ্যুৎ বিক্রির লভ্যাংশ প্রদান, বাড়ির দলিল হস্তান্তর সহ ৭ দফা দাবিতে মানব বন্ধন করেছে ভুক্তভোগীরা।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্বপ্নের ঠিকানা আবাসনের বাংলাদেশ চায়না টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে ঘণ্টাব্যাপী মানব বন্ধনে অংশগ্রহণ করেন জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।

মানব বন্ধনে ভুক্তভোগীরা বলেন, ২০১৪ সালে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য জমি অধিগ্রহণের সময় জমির তিনগুণ মূল্য প্রদান, ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারের সদস্যদের যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি প্রদান,  উৎপাদিত বিদ্যুৎ বিক্রির ০.০৩ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান, জমি ও বাড়ির দলিল হস্তান্তরের আশ্বাস দেয়া হলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। জমিজমা ঘরবাড়ি ও পেশা হারিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। স্বপ্নের ঠিকানায় তাদের যে ঘর দেয়া হয়েছে তা এখন জরাজীর্ণ, নেই বিশুদ্ধ পানির সংস্থান ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। ফলে এখানে বসবাস করা তাদের জন্য দুরূহ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বর্তমান বাজারে কর্মসংস্থান না থাকায় তারা অনাহার ও অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি না মানা হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন ভুক্তভোগীরা।  

ভূক্তভেগীদের  দাবিগুলো হলো—

১. কোটায় নয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যোগ্যতা অনুযায়ী ১৩০ পরিবার থেকে ন্যূনতম একজনকে বিসিপিসিএল কোম্পানিতে সরাসরি স্থায়ী চাকুরি দিতে হবে।

২. উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রতি ইউনিট বিক্রয়ের শতকরা ০.০৩ পয়সা ক্ষতিগ্রস্ত ১৩০ পরিবারকে দেওয়ার কথা ছিল সেটা বুঝিয়ে দিতে হবে।

৩. পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অধিগ্রহণে মূল্যের চেয়ে তিনগুণ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষদের গুণ টাকা দেয় বাকি দেড়গুণ টাকা সকল ভূমি দাতাদের বুঝিয়ে দিতে হবে।

৪. স্বপ্নের ঠিকানা আবাসন প্রকল্পের সবাইকে স্থায়ী দলিল আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে দিতে হবে।

৫. দুর্নীতির সাথে জড়িত প্রজেক্ট এম ডি এ এম খোরশেদুল আলম ও পিডি শাহ আব্দুল মাওলা হেলাল কে পদত্যাগ করতে হবে এবং প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিজস্ব আত্মীয় ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকৃত সকল কর্মকর্তাদের বাতিল ও অপসারণ করতে হবে।

৬. ১৩০ পরিবারের জন্য বিশুদ্ধ খাবার ও পানির ট্যাংকি করে সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে হবে।

৭. সকল দাবি মেনে লিখিত স্টেটমেন্ট দিতে হবে।

এবিষয়ে জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মো. আরেফিন ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

বিআরইউ