গাজীপুরের শ্রীপুরের পূর্ব বিরোধের জেরে শ্রীপুর পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আফাজ উদ্দিন মোল্লাকে কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
এ সময় বাধা দেয়ায় তার সহযোগীসহ আরও ৪ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়। এ সময় ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় শ্রীপুর পৌরসভার পশ্চিম ভাংনাহাটি (মোল্লাপাড়া) এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- পশ্চিম ভাংনাহাটি (মোল্লাপাড়া) এলাকার মৃত ফজর আলী মোল্লার ছেলে শ্রীপুর পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আফাজ উদ্দিন মোল্লা (৫৩), মৃত সাফিজ উদ্দিনের ছেলে মুনসুর আলম বাবুল (৪২), ইসমাইল হোসেনের ছেলে ফরহাদ মিয়া (৪২), মৃত মজিদ মোল্লার ছেলে মোন্তাজ উদ্দিন মোল্লা (৫৮) এবং রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৪৮)।
আহতদেরকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আফাজ উদ্দিন মোল্লা জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি বাসা থেকে স্থানীয় কেওয়া বাজারের উদ্দেশ্যে বের হন। বাসা থেকে একটু সামনে যাওয়ার পর পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা একই এলাকার ওয়াদুদ মোল্লা, তার ভাই সাখাওয়াত মোল্লা, সাইয়ুম মোল্লা, জসীম উদ্দিন, আবু সাঈদ, ইসহাক, ইলিয়াস, ইমরান, তন্ময় এবং তুহীনসহ তাদের ২০/২৫ জন সহযোগী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা করে। এ সময় তার মাথায় এবং গালে কুপিয়ে আহত করে। তার চিৎকারে অন্যান্যরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদেরকেও মারপিট করে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক লুবনা আক্তার জানান, হামলার ঘটনায় ৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অভিযুক্ত ওয়াদুদ মোল্লা জানান, আফাজ উদ্দিনের বড় ভাই হেলাল উদ্দিন আমাকে ডেকে স্থানীয় বাটন কারখানার সামনে নিয়ে যায়। সেখানে ব্যবসায়ীক আলোচনা করার সময় একটি গাড়ি কারখানায় প্রবেশ করে। এ সময় আফাজ মোল্লার লোকজন মনে করে আমার গাড়ি কারখানায় প্রবেশ করেছে। একপর্যায়ে আফাজ মোল্লা ও তার লোকজন আমাদের লোকজনের উপর হামলা করে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন বলেন, ভাংনাহাটি এলাকায় হামলার ঘটনায় আমাকে কেউ একজন ফোনে জানিয়েছে। পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখন পরিবেশ শান্ত আচে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি।
ইএইচ