ফেনীতে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে চোখ হারানোর শঙ্কায় শিক্ষার্থী

এস এম ইউসুফ আলী, ফেনী প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪, ০৭:৪৮ পিএম

ফেনীর দাগনভূঞা পৌর এলাকার ওয়াজেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাপস মজুমদারের বেত্রাঘাতে চোখ শঙ্কায় এক ক্ষুদে শিক্ষার্থী।

শ্রেণিকক্ষে গণিত ভুল করায় ওই শিক্ষক নামধারী পাষণ্ডের বেত্রাঘাতে দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছে মাইদুল হাসান (১০) নামে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।

এ ঘটনায় স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ফেনী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদ।

বলেন, ‘ঘটনার পর ভুক্তভোগী পরিবার আমাদের কাছে অভিযোগ করেন। এরপর ‍‍`আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা মেলায় ইতোমধ্যে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।’

তদন্ত কমিটির সদস্য ফেনী সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমা বেগম বলেন, ‘জেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশনায় ফেনী সদর, ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তার সমন্বয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।’

দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিবেদিতা চাকমা বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমরা সরেজমিন তদন্ত করেছি। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে।’

মাইদুলের পিতা রেয়াজুল হক বলেন, ‘আমি একজন প্রবাসী। আমার একমাত্র ছেলে বর্তমানে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আমার সন্তানকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত শিক্ষক তাপস মজুমদার দায় স্বীকার করলেও তার বড় ভাই রাজেস মজুমদার আমাদের ক্রমাগত হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন।’  

ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক তাপস মজুমদারের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

অভিযুক্তের ভাই রাজেশ মজুমদার বলেন, ‘তাপস মজুমদার বর্তমানে চিকিৎসার জন্য ভারত রয়েছেন। দুর্ঘটনা বশত শিক্ষার্থীর চোখে আঘাত লেগেছিল। পরিবারটিকে হুমকি দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তা ভিত্তিহীন। বরং তারাসহ (শিক্ষার্থীর পরিবার) স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আমরা একাধিকবার বৈঠক করেছি। আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা বাবদ একটা খরচের দাবি করেছে পরিবারটি।’

ফেনী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা মেলায় ইতোমধ্যে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।’

ইএইচ