প্রমত্তা পদ্মা নদীর ভয়াবহ অব্যাহত ভাঙনের কবলে পড়ে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাহেবনগর পদ্মায় বিলীন হলো হাই ভোল্টেজ বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার।
এ ঘটনায় নদী পাড়ের মানুষগুলো বাঁচার তাগিদে দোয়া মাহফিল করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছে।
মানুষের কান্নায় নদী পাড় যেন ভারি হয়ে উঠেছে। অসহায় গরীব মানুষগুলো তাদের সহায় সম্বল নিয়ে দিক বিদিক ছুটাছুটি করছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে ওই টাওয়ার পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। আরও ৪টি টাওয়ার ঝুঁকিতে আছে।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়ার বারখাদা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জানান, ওই হাই ভোল্টেজ টাওয়ার নদী গর্ভে বিলীন হলেও কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুতের কোন সমস্যা হবে না। কারণ বিকল্প লাইন রয়েছে পল্লী বিদ্যুতের। এই টাওয়ার নিয়ন্ত্রণ করে ঝিনাইদহ পিজিসিবি। আমরা তাদের সাথে আলোচনা করেছি তার ঘটনা জানেন।
কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর ভেড়ামারা) সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম পদ্মার ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রধান প্রকৌশলীকে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন, ডিজিকে জানাতে। শহীদুল ইসলাম ডিজিকে ঘটনা বিস্তারিতভাবে জানানোর পর তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমানকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন। তার পরেও কোন কাজ হয়নি।
নির্বাহী প্রকৌশলী গোপনে আওয়ামী লীগের ঠিকাদারের সাথে আঁতাত করে নয় ছয় শুরু করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, টানা বৃষ্টিতে নদীর পানি ২-৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া নদীর গতিপথ পরিবর্তন ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ওই এলাকায় ভাঙন তীব্র হয়েছে। আমরা ব্যাপারটি অবজারভেশনের মধ্যে রেখেছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করেছি। বিদ্যুৎ সঞ্চালন টাওয়ার ও বেড়িবাঁধসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষায় সেখানে দ্রুত জিও ব্যাগ ও জিও টিউব ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। আপদকালীন পরিস্থিতি পার করে দ্রুত ভাঙনরোধে স্থায়ী সমাধানের জন্য নেওয়া প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
ইএইচ