সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মানুষের পাশে দাঁড়াতে সেনাবাহিনীর গুইমারা রিজিয়নের সহযোগিতায় ফটিকছড়ি ভূজপুর জমজমাট `এক টাকার বাজার` ও ফটিকছড়িতে বন্যার্তদের পুনর্বাসন সহায়তা প্রদান করলো গুইমারা সেনা রিজিয়ন।
বৃহস্পতিবার সকালের দিকে লক্ষ্মীছড়ি সেনা জোনের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা ভূজপুর ন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে অভিনব এক টাকার বাজারের উদ্বোধন করেন গুইমারা সেনা রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রাইসুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের সেনাসদস্যরা শুরু থেকেই ফটিকছড়িতে বন্যার্তদের সাহায্য ও উদ্ধার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা প্রাকৃতিকভাবে কমে গেলেও বন্যায় দুর্গত মানুষেরা এখনো তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেননি। এই উপজেলায় বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে গুইমারা রিজিয়নের লক্ষীছড়ি জোনের সেনা সদস্যরা।
ফটিকছড়িতে সেনাসদস্যদের বন্যার্তদের পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিদর্শনে যান গুইমারা রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রাইসুল ইসলাম।
পুনর্বাসন কার্যক্রমে ৬০টি ক্ষতিগ্রস্ত বন্যার্ত পরিবারের মাঝে কৃষিপণ্য সার ও বীজ, বাসস্থান নির্মাণের জন্য টিন, অসহায় মহিলাদের স্বাবলম্বী করতে সেলাই মেশিন ও গবাদিপশু বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সহায়তায় প্রায় ৫০০ জনকে এক টাকার বাজারের আওতায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এর পাশাপাশি গুইমারা রিজিয়ন ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রায় ৮০০ জন রোগীর মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ প্রদান করা হয়।
পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রাইসুল ইসলাম স্থানীয় জনগণ ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন।
তিনি আশ্বাস প্রদান করেন যে, বন্যার্তদের অবস্থার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সেনাবাহিনীর এ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এ সময় লক্ষ্মীছড়ি জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম, জোন উপ-অধিনায়ক মেজর সারোয়ার জাহান, ফটিকছড়ি উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও ফটিকছড়ি পৌর প্রশাসক মো. মেজবাহ উদ্দিন, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড মেম্বার মো. জামাল উদ্দিন সহ সামরিক পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ইএইচ