সাবেক এমপি পুত্র রাসেল-শাকিল এর বিরুদ্ধে অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলা

পাবনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪, ০৭:৫২ পিএম

পাবনা-৩ আসনের সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা মকবুল হোসেনের দুই পুত্র গোলাম হাসনাইন রাসেল ও ইবনুল হাসান শাকিল এবং তাদের আরেক দোসর ইমরান হাসান আরিফ সহ অজ্ঞাত পরিচয় ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

আজ শুক্রবার দুপুরে মামলার বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সোহেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর পাবনার আমলি আদালতে মামলাটি করেন ভাঙ্গুড়া পৌরশহরের ভদ্রপাড়া মহল্লার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আনিসুজ্জামান মিঠু। মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত রাসেল ভাঙ্গুড়া উপজেলার সাবেক পৌর মেয়র এবং ভাঙ্গুড়া উপজেলার সবে মাত্র উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছিলো ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আর শাকিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এবং মামলায় অপর আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান।

মামলার বাদী আনিসুজ্জামান মিঠু এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালের ৫ মে বিকেল ৪ টার দিকে এমপি পুত্র রাসেল-শাকিল ও আওয়ামী লীগ নেতা আরিফসহ ৭-৮ জন অজ্ঞাত পরিচয় লোক ব্যবসায়ী মিঠুকে অস্ত্রের মুখে পৌরশহরের বড়াল বেইলিব্রীজের পূর্ব পাড় থেকে অপহরণ করে। পরে অভিযুক্তরা আরিফের বাড়ির একটি নির্জন কক্ষে তাকে আটকে রেখে নির্যাতন চালায়।এসময় মুক্তিপণ হিসেবে ব্যবসায়ী মিঠুর কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন তারা। পরে ১২ লাখ টাকা দিয়ে তাদের কাছ থেকে মুক্তি পান তিনি। এঘটনায় কোন মামলা দায়ের করলে অভিযুক্তরা তাকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেন সেসময়।

মামলার বাদী আনিছুজ্জামান মিঠু জানান, এমপি পুত্র হওয়ায় এবং পুত্রদের কাছ থেকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় আমি এতোদিন কোন আইনের আশ্রয় নিতে পারেননি। আনিছুজ্জামান মিঠু গত ১৭ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে পাবনার বিজ্ঞ আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি । পাবনা জজ কোর্টের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন সোহেল বলেন, ব্যবসায়ী মিঠু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণ, চাঁদাবাজি ও নির্যাতনের অভিযোগে আদালতে একটি মামলার আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে পিবিআইয়ের এসআই তুহিন বলেন, আদালত থেকে এই মামলার কোন নথি তাদের কাছে এখনো এসে পৌঁছায়নি।

আরএস