মায়ের করুন আর্তনাদ নিখোঁজ সন্তানের সন্ধান দাও

দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম

সন্তান হারা মায়ের করুন আর্তনাদ আমার ছেলেকে এনে দাও। আমি ওকে ছাড়া বাঁচবো না। যেখান থেকে পারো আমার বুকের ধনকে আমার কাছে এনে দাও। এ বিলাপ করতে করতে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিখোঁজ তানভীরের মা তাছলিমা বেগম।

এমন দৃশ্য দেখা যায় ঢাকার দোহার উপজেলার নয়াবাড়ি ইউনিয়নের আন্তা গ্রামে। ওই গ্রামের মনোয়ার খান ও তাছলিমা বেগম দম্পত্তির ছেলে তানভীরকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ১৪ ই সেপ্টেম্বর থেকে।

তানভীরের পারিবারিক সূত্র জানায়, মানিকগঞ্জে কাজে যাওয়ার সময় তানভীর খান(২০) নামে এক যুবক নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিখোঁজ তানভীর মানিকগঞ্জ জেলার দেড়গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে আকিজ কোম্পানির টেক্সটাইল মিলে প্রায় দেড় বছর যাবত কাজ করতো। তানভীর বাই সাইকেলে করে বাসা থেকে কাজে যাওয়া আসা করতো। কোনো সময় দিনে এবং কোন রাতে ডিউটি পরতো তার। গত ১৪ ই সেপ্টেম্বর রাতে বাসা থেকে কাজে যাওয়ার সময় পুলিশ ক্যাম্প নামক জায়গা থেকে নিখোঁজ হয় তানভীর।

তানভীরের মা তাছলিমা বেগম জানান, আমি ছেলের নিখোঁজের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেই রাতে সেখানকার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ১৫/১৬ বছর বয়সী এক কিশোর জানান, হঠাৎ একটি শব্দ পেয়ে সে দৌড়ে রাস্তায় এসে দেখি মোটরসাইকেলের সাথে একটি বাই সাইকেলের অ্যাকসিডেন্ট হয়েছে। মোটরসাইকেলে দুজন ছিলো, তাদের কিছু হয়নি কিন্তু সাইকেল চালকের অবস্থা খুবই খারাপ ছিলো। আমি সাইকেল চালকের কাছে গিয়ে তাকে টেনে তুলে দেখি সে এখনো বেঁচে আছে। এরমধ্যে মোটরসাইকেলের দুইজন এসে আমাকে বললো আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। একথা বলে তাকে ঢাকার দিকে নিয়ে যায়।

তানভীরের মা কান্না জড়িত কণ্ঠে আরো জানান, আমি অনেক হাসপাতালে খোঁজ করেছি কোথাও পাই নি। আমি আমার ছেলের সন্ধান চাই। আমার ছেলেকে এনে দাও তোমরা।

এবিষয়ে তানভীরের শ্বশুর নজরুল মানিকগঞ্জ সদর থানায় সাধারণ জিডি করেন। জিডি নং ১০৬৬ তারিখ ১৭/০৯/২৪ ইং।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু সায়েম চৌধুরী বলেন আমি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জীবিত কিংবা লাশ হউক উদ্ধার করার জন্য ঢাকা, সাভার, ধামরাই ও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন ক্লিনিক , হাসপাতাল সহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে। এবং বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত আছে। আমাদের আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।

আরএস