মানিকগঞ্জে চাকুরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও চাকুরিচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারক প্রদান করা হয়েছে।
রোববার বেলা ১২টার সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুবেদার আক্তারুজ্জামান, নায়েক সুবেদার শওকত আলী, ল্যান্স নায়েক রমিজ, সিপাহি সাইদুর রহমানসহ শতাধিক বিডিআর সদস্যরা।
এ সময় বক্তারা বলেন ২০০৯ সালে ২৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার প্রভু দেশকে সন্তুষ্ট করতে এবং সেনাবাহিনীর সামর্থ্য ক্ষুণ্ন করতে বাংলাদেশ রাইফেলসকে ধ্বংস করার জন্য, প্রতিশোধ স্পৃহা থেকে ক্ষমতাকে সুদৃঢ় করতে নীল নকশার অংশ হিসেবে সুপরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রপূর্বক পিলখানা হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করে। এই হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন শাহাদত বরণ করে। পরবর্তী ফ্যাসিস্ট সরকার প্রহসনের বিচারের নামে আলামত ধ্বংস ও নিরীহ ৫৪ জন বিডিআর সদস্যকে নিরাপত্তা হেফাজতে হত্যা করে।
বক্তার আরও বলেন, পিলখানা সংঘটিত সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে তথাকথিত বিদ্রোহ সংজ্ঞায়িত না করে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসাবে আখ্যায়িত করে সকল প্রহসনের বিশেষ আদালতকে নির্বাহী আদেশে বাতিল করতে হবে। চাকুরিচ্যুত সকল পদবির বিডিআর সদস্যকে সুযোগ সুবিধাসহ চাকুরিতে পুনর্বহাল করে মহামান্য হাইকোর্টের বিচারকগণের রায়ের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী পিলখানার হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মোটিভ উদ্ধার ও কুশীলবদের শনাক্ত কল্পে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। এই হত্যাকাণ্ডের ৫৭ সেনা কর্মকর্তা ও বিডিআর সদস্যসহ ৭৪ জনকে শহীদের মর্যাদা দিয়ে ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে `পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস` হিসেবে ঘোষণা করতে হবে এবং যে সকল বিডিআর সদস্যদের নির্যাতনপূর্বক হত্যা করা হয়েছে তাদের তালিকা প্রকাশ করে দ্রুত তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসন করতে দাবি জানান তারা।
ইএইচ