বিপদসীমা ছুঁইছুঁই তিস্তার পানি: প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

লালমনিরহাট প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪, ০৫:০৮ পিএম

টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সে.মি নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। যে কোন সময় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে তিস্তার পানি। এর ফলে তিস্তার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে ফসলের ক্ষেত ও রাস্তাঘাট। বাড়িঘরে পানি উঠায় বিপাকে নিম্নাঞ্চলের মানুষ।

শনিবার সকাল ৬টায় তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সে.মি নীচ দিয়ে প্রবাহ রেকর্ড করা হয়।

কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৬ সে. মি নিচে প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। সকাল ৯টায় দুইটি পয়েন্টে পানি প্রবাহ অপরিবর্তিত থাকলেও দুপুর ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সে. মি নিচে পানি রেকর্ড করা হয় এবং কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২১ সে. মি নিচে প্রবাহ রেকর্ড করা হয়।

এর ফলে ফলে তিস্তার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গত দুইদিনে টানা বৃষ্টিতে তিস্তার চরে কৃষকের ফসল তলিয়ে গেছে। কৃষকের ধান, মরিচসহ শীতকালীন আগাম সবজি পানিতে তলিয়ে গেছে।
চরাঞ্চলে থাকা সাধারণ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ায় স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

এছাড়াও আশঙ্কা করা হচ্ছে তিস্তার বাম ও ডান তীরে নিম্নাঞ্চলে সাময়িক বন্যা দেখা দিতে পারে।

সাধারণ মানুষের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করায় চলাচল ও রান্না বান্না নিয়ে বিপাকে পড়েছেন প্লাবিত মানুষ। গবাদি পশুর খাদ্য নিয়েও পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। অনেকেই উঁচু স্থানে গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন।

আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্ধন এলাকার আব্দুর রহিম বলেন, শুক্রবার রাত থেকে পানি বাড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বারিঘরে পানি ঢুকেছে। রাস্তাতেও পানি উঠেছে। ঠিকমতো চলাচল করতেও পারছি না।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার রায় জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে রংপুর বিভাগের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি গত দুইদিনে সমতল বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অবস্থায় আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত লালমনিরহাট জেলার তিস্তা নদীর পানি সমতল সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং জেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ছাড়াও কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।

ইএইচ