ফেনী আলীয়ার অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে উত্তেজনা: পাল্টাপাল্টি হামলায় আহত ১০

ফেনী প্রতিনিধি: প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪, ০৮:১৫ পিএম

নানা অনিয়ম-দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও শিক্ষিকা-ছাত্রী কেলেঙ্কারি সহ অসংখ্য অভিযোগে ফেনী আলীয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসানের পদত্যাগ দাবিতে দুই গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থানে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সোমবার (৩০সেপ্টেম্বর) এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।এতে জড়িত থাকার অভিযোগে দু‍‍`জনকে পুলিশ আটক করে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আ‍‍`লীগ সরকারের পতনের পর বিতর্কিত অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসানের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ করে আসছে শিক্ষার্থীরা।

এরই ধারাবাহিকতায় এদিন সকাল ১১টার দিকে কিছু শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করতে মাদ্রাসা মাঠে জড়ো হয়। এসময় শ্রেণিকক্ষে থাকা শিক্ষার্থীরা যাতে মাঠে নামতে না পারে, এজন্য দরজায় তালা লাগিয়ে দেয় অধ্যক্ষের অনুসারীরা।

একপর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে ফাজিল (অনার্স) আল হাদিস বিভাগের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ রুপমের মাথা ফেটে যায়।এছাড়া আলিম ফল প্রার্থী মোহাম্মদ সাঈদের আঙ্গুলের একাংশ কেটে পড়ে।

অপর আহতদের মধ্যে ফাজিল তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আল হাসান, ফাজিল আল কুরআন বিভাগের ১ম বর্ষের ফরহাদ হোসেন, মাসুদ রানা, আলিম দ্বিতীয় বর্ষের আবদুল্লাহ আল নোমান, আরাফাত, মিনহাজ, দশম শ্রেণির আবু বকর ফাহাদ, ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী হাসান উল বান্নার নাম জানা গেছে।

এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফাজিল ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সিয়াম ও ইসমাইল হোসেন জয় নামে একজনকে আটক করে।

উত্তপ্ত এ পরিস্থিতির খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক  জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দ্বীন মোহাম্মদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হাসান, ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ মারমা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাদরাসায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।তাঁরা মাদরাসার শিক্ষক সহ উভয়পক্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।

ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

অন্যদিকে আহত তানভীর আহমেদ রুপমের অভিযোগ, মাহমুদুল হাসানের নির্দেশনায় তার ছেলে মাদরাসার শিক্ষক জুনাইদ আল মাহমুদের উপস্থিতিতে ৬০-৭০ জন শিক্ষার্থী চোরা ও লাঠি নিয়ে সাধারণ ছাত্রদের উপর হামলা চালায়। এদের মধ্যে অন্তত ১০ জন ছাত্র প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।

ফেনী মডেল থানার ওসি মর্ম সিংহ মারমা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।ছত্র আহতের ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আরএস