বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢুকে চিকিৎসকদের উপরে হামলা ও মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছে চিকিৎসকরা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বহির্বিভাগের সেবা বন্ধ রাখায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা নিতে আসা রোগীরা।
হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় না আনা পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা জানান, বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে ঢুকে তিন চিকিৎসকের উপর হামলা করা হয়। এ সময় মোড়েলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা চন্দন দাসসহ তিনজন ডাক্তার আহত হন। ঘটনার পর মোরেলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের আটক করে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি তোলেন ডাক্তাররা।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তনুশ্রী ডাকুয়া বলেন, স্থানীয় মো. শিমুল শেখ নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল গতকাল জরুরি বিভাগ থেকে ডাক্তার চন্দন দাসকে বের করে বেধরক মারপিট করতে থাকে। আমি ঠেকাতে গেলে হামলাকারীরা আমাদেরও মারধর করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায়কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ ঘটনায় মোরেরগঞ্জ মামলা দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় না আনা পর্যন্ত আমরা বহির্বিভাগের সেবা বন্ধ করে কর্ম বিরতি পালন করছি। কর্মবিরতি চলাকালে শুধুমাত্র হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের সেবা দেওয়া হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় না আনা হচ্ছে ততক্ষণ আমাদের কর্মবিরতি চলবে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আহাদ নাজমুল বলেন, অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় না আনা পর্যন্ত আমরা বহির্বিভাগের সেবা বন্ধ করে কর্ম বিরতি পালন করছি। কর্মবিরতি চলাকালে শুধুমাত্র হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের সেবা দেওয়া হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় না আনা হচ্ছে ততক্ষণ আমাদের কর্মবিরতি চলবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায় বলেন, আমি প্রশিক্ষণজনিত প্রয়োজনে ঢাকায় আছি।তবে শিমুলের বাড়িতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার সাবেক স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মুফতি কামাল হোসেন একটি বেসরকারি ক্লিনিক করেছেন। তিনিই এই হামলার নেপথ্যে রয়েছেন।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডাক্তার জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসকদের উপর হামলার বিষয়টি হতাশা জনক। হামলা ও মারপিটের পর চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। আমরা হামলার বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দিন বলেন, চিকিৎসকদের উপর হামলার বিষয়ে একটি একটি মামলা হয়েছে আসামিদের গ্রেফতার চেষ্টা চলছে।
ইএইচ