নেত্রকোণা জেলা জামায়াতের রোকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

নেত্রকোণা প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৪, ০৩:০২ পিএম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, যারা জামায়াত শিবিরের আদর্শিক রাজনীতিকে পছন্দ করতো না, যারা জামায়াত শিবিরের রাজনীতিকে সর্বদা জনগণের সামনে খারাপ বলতো, যারা জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল, তারাই আজ জনগণের ভয়ে পালিয়ে গিয়েছে। 

বলেন- দেশ ও জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করলে তাদেরকে এভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হতো না।

শুক্রবার সকাল ১০টায় স্থানীয় পাবলিক হলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেত্রকোণা জেলা শাখা আয়োজিত রোকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্য হলে এদেশের জনগণের সত্যিকারের কল্যাণ হবে। তিনি জামায়াত শিবিরকে কালের মুয়াজ্জিনের ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।

বলেছেন, প্রায় দেড় যুগ ধরে আওয়ামী সরকারের জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতনের শিকার জামায়াতে ইসলামী জুলাই আগস্টের ছাত্র জনতার অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রকাশ্যে রোকন সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও প্রাণচাঞ্চল্য পরিলক্ষিত হয়েছে।

নেত্রকোণা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মাওলানা সাদেক আহমেদ হারিছের সভাপতিত্বে সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় রোকন সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ময়মনসিংহ অঞ্চল পরিচালক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ভূইয়া।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- ময়মনসিংহ জেলা আমির মো. আব্দুল করিম, ময়মনসিংহ অঞ্চলের ওলামা বিভাগের দায়িত্বশীল সাবেক জেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা এনামুল হক, নেত্রকোণা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. দেলোয়ার হোসেন সাইফুল, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মাছুম মোস্তফা প্রমুখ।

রোকন সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামী জেলার কর্মপরিষদ সদস্য, জেলা শুরা সদস্যবৃন্দ, উপজেলা আমির ও সেক্রেটারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ময়মনসিংহ অঞ্চল পরিচালক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, জাতির নেতৃত্ব নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের মানুষ জামায়াতকে চাচ্ছে। আমাদেরকে ইলম, আমল ও নেতৃত্বে যোগ্যতার পরিচয় দিতে হবে। পাড়া, মহল্লা, গ্রাম, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গণ দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে।

পরে জেলার কর্মপরিষদ সদস্য, জেলা শুরা সদস্যবৃন্দ, উপজেলা আমির ও সেক্রেটারিবৃন্দ, রোকন, মহিলা রোকনসহ সকলের উপস্থিতিতে গোপন ভোটে এ সম্মেলনে জেলা ইমারতের আমির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ভূইয়া।

ইএইচ