জামায়াতে আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ইতিহাসের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম। স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার বিদায় হওয়ার পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কোন লোকজন কারো গায়ে হাত দিয়েছে, প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়েছে, চাঁদাবাজি করেছে এমন কোন রেকর্ড জামায়াতে ইসলামীর কোন কর্মীর নেই। জাতীয় স্বার্থে ধর্ম, গোষ্ঠী ও দলের ভিত্তিতে বিভাজনসহ জাতিকে কোনো প্রকার বিভাজিত বা ভাগ করতে দেয়া হবে না।
শুক্রবার সকালে গাজীপুর মহানগরের জয়দেবপুর রাজবাড়ি মাঠে বৈষম্য ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নিহতদের পরিবারদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং সুধী সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম গাজীপুর মহানগর ও জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।
জামায়াতের আমির বলেন, আ.লীগ সরকারের বিরুদ্ধে এদেশের ছাত্র-জনতার ভূমিকা জাতি ভুলবে না। ক্ষমতার সিঁড়ি হিসাবে হাসিনা সরকার ৫৭ জন সেনা বিডিআরকে হত্যা করেছে। বাতি নিভিয়ে শাপলা চত্বরে হাজারো মুসল্লী নিধন করে লাশ গুম করেছে। তাছাড়া লাগাতার হত্যা, গুম, খুন জেল জুলুম এগুলো জাতি কোন দিনও ভুলবে না। ১১ জন জামাত নেতার বিচারিক হত্যাকাণ্ডসহ সকল বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির আরও বলেন- আন্দোলনে শহীদদের কোন দলে বিভক্ত করতে চাই না, তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চাই। প্রতিটি শহীদ পরিবার থেকে অন্তত একজন করে সরকারি চাকরি দিতে হবে। আহতদের পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। জাতিকে যারা ভাগ করে তারা জাতীয় দুশমন।
সবার জন্য আইন সমান উল্লেখ করে মহাসমাবেশে ডা. শফিকুর রহমান বলেন- একথা এতদিন যারা বলেছেন এবার দেখবো তার প্রমাণ। অপরাধী আমি হলে আমি আমার বিচার চাই। যারা পালাইলেন, কলা পাতায় ঘুমাইলেন আর যারা ধরা পড়েছেন তাদের ন্যায় বিচার চাই।
জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক আ.স.ম ফারুকের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আমির মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন।
আরও উপস্থিত ছিলেন- মহানগর সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, সালাউদ্দিন আইয়ুবী, খাইরুল হাসান,মহানগর শিবির সভাপতি আবু হানিফ, হোসেন আলী প্রমুখ।
ইএইচ