শেরপুরে আকষ্মিক বন্যা: পানির তোড়ে ভেসে দু’জনের মৃত্যু

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৪, ০১:১৪ পিএম

টানা ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের মহারশি, ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর দুই কূল উপচে দুই উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে উপজেলা দুটির গ্রামীণ অধিকাংশ সড়ক ও ফসলের মাঠ। পানির তোড়ে ভেসে প্রাণ হারিয়েছেন নারীসহ দু’জন। অনেক বাড়িঘর হাঁটুপানিতে নিমজ্জিত। ভেসে গেছে অসংখ্য পুকুরের মাছ। এমন আকস্মিক বন্যায় মহাদুর্ভোগে পড়েছেন অন্তত ৫০টি গ্রামের মানুষ।

মৃত দু’জন হলেন– নালিতাবাড়ী উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়ন পরিষদের বালুচর এলাকার মানিক মিয়ার স্ত্রী রহিজা বেগম (৪০) এবং নয়াবিল ইউনিয়নের আন্ধারপাড়া এলাকার বাসিন্দা কৃষক ইদ্রিস আলী (৭৫)।

নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ রানা জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে খলিসাকুড়া গারোবাজার থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে পানির তোড়ে ভেসে ইদ্রিস আলীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে উপজেলায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। টানা বৃষ্টিতে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর পানি বেড়ে উপজেলার সদর বাজার, উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ চারটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। একই কারণে সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীতেও পানি বেড়েছে। ডুবে গেছে পৌরসভাসহ তিনটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। ভোগাই নদীর দুই পাড়ের কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

তারা বলছেন, ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বৃহস্পতিবার থেকেই মহারশি নদীতে পানি বাড়ছিল। গভীর রাতে নদীর কয়েকটি স্থানে বাঁধ ভেঙে যায়। এর পর পানি ঢুকে ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায়। ঝিনাইগাতী বাজার ও রাংটিয়া সড়কের ওপর দিয়ে এবং ভোগাই নদীর ভাঙন অংশ দিয়ে পানি ঢুকে গড়কান্দা ও শিমুলতলী এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে নদীর বাঁধ ভেঙে ও বাঁধ উপচে প্রবল বেগে ঢলের পানি লোকালয়ে ঢুকছে। ভেঙে গেছে বাড়িঘর। জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ স্থানে ছুটছে মানুষ। আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষিত অনেক এলাকার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা তলিয়ে গেছে। তাই সেখানে না গিয়ে সড়ক ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন দুর্গতরা।

বিআরইউ