নিহত ৩

শেরপুরে হঠাৎ বন্যা: চরম দুর্ভোগে ২ উপজেলার মানুষ

শেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম

শেরপুরে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সৃষ্ট সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

উজানের পানি কিছুটা কমতে শুরু করলেও ভাটি এলাকায় আরও অন্তত ৫০টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

এ পর্যন্ত ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার অন্তত ১৪টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষ। বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় চরম কষ্টের মধ্যে পড়েছে লোকজন।

নালিতাবাড়ীর খলিশাকুড়ির খলিলুর রহমান (৬৫), আন্ধারুপাড়ার বৃদ্ধ ইদ্রিস আলী (৬৫) ও ঝিনাইগাতীর সন্ধাকুড়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তিসহ তিনজন বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে বলে জানা গেছে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পাড়ে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

এদিকে রাতভর বন্যা দুর্গত এলাকায় আটকে পড়াদের উদ্ধার কাজ করেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা। বন্যার্ত এলাকায় খাবার সঙ্কট চরমভাবে দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট ব্রিজ কালভার্ট পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলেও দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ।

জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত জেলায় ৭ হাজার ৭শ হেক্টর জমির আমন ধান সম্পূর্ণ পানির নিচে এবং ৯ হাজার ৭শ হেক্টর জমির আমন ধানের আবাদ আংশিক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ৬শ হেক্টর জমির শীতকালীন সবজি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। তবে এ ক্ষতির পরিমাণ আরো অনেক বেশি বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ির মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় উপজেলা দুটির অধিকাংশ নিম্নাঞ্চল বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। এলাকার প্রতিটি নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে।

ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ, নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসন বন্যার্তদের মাঝে রান্না করা ও শুকনো খাবার বিতরণ শুরু করেছে। বিএনপি, রক্ত সৈনিক বাংলাদেশ, শেরপুর ও স্থানীয় কয়েকটি সংস্থার পক্ষ থেকে উদ্ধার কাজ ও ত্রাণ বিতরণ শুরু করা হয়েছে।

শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে দুর্গত মানুষের জীবন, গবাদিপশু ও জানমাল রক্ষায় সরকারসহ বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠা কে দ্রুত এগিয়ে এসে ত্রাণ, খাবার ও উদ্ধার কাজ পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।

ইএইচ