ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে নারী শিক্ষার অন্যতম প্রতিষ্ঠান কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে রোববার দিনভর বিক্ষোভ করেছে কলেজের ছাত্রীরা।
শেষ পর্যন্ত অনিয়ম, দুর্নীতি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয় এবং অধ্যক্ষ মো. ফরিদ আহমেদকে ৭ দিনের ছুটিতে পাঠান এডহক কমিটির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলাম।
পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজে রোববার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ছাত্রীদের সাথে ছাত্রদেরও দেখা যায়। পরে কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি কলেজে পৌঁছলে ছাত্রীদের বিক্ষোভ আরও জোরদার হয়। তখন সভাপতি শিক্ষক মিলনায়তনে অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের নিয়ে সভায় বসেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা সভাপতির নিকট লিখিত অভিযোগ দেন। পরে অধ্যক্ষকে বাসায় পাঠিয়ে কমিটি ও শিক্ষকরা মিটিং করে অধ্যক্ষকে ৭দিনের ছুটি এবং তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
তদন্ত কমিটি আগামী ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে (পূজার ছুটি পরে) তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে। এ প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন সহযোগী অধ্যাপক রবীন কুমার লস্কর, সহযোগী অধ্যাপক মিনু রানী সাহা ও সহযোগী অধ্যাপক শিরিন হোসেন।
এ বিষয়ে কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, আমিতো কোন অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি করি নাই। সুযোগও নাই। কারণ কলেজের সকল কাজ করার জন্য বিভিন্ন কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটি সকল কাজ করে থাকে এবং সকল লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে হয়ে থাকে। কিন্তু ছাত্রীরা বার বার আমার পদত্যাগের দাবিতে মিছিল করে আসছে। বর্তমান সভাপতি কলেজে এসেছিলেন। তিনি ৭ দিনের ছুটি দিয়েছেন।
কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, কোন অভিযোগ উঠলেইতো কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। শাস্তিও দেওয়া যায় না। এ জন্য অধ্যক্ষ ফরিদ আহমেদকে ৭ দিনের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সকল অভিযোগ আছে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইএইচ