পার্বত্য উদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে

রাঙামাটি প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২৪, ০৭:২২ পিএম

রাঙামাটিতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সে পাহাড়ি হোক বা বাঙালি হোক যারাই জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

বলেছেন, সহিংসতার ঘটনা নিয়ে মামলা করতে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের বলে দিয়েছি। আমরা চাই প্রকৃত অপরাধীরা আইনের আওতায় আসুক, নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। সহিংসতার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন করে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে।

গত ২০ সেপ্টেম্বর রাঙামাটিতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন।

তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, যেহেতু পার্বত্য এলাকায় একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, সে কারণে আপাতত এ বিষয়ে প্রশাসন একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পাহাড়ের সবকিছু স্বাভাবিক হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

পাহাড়ে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কঠিন চীবর দানোৎসব পালন না করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিহার সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ করবেন বলে জানান পার্বত্য উপদেষ্টা।

বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় পার্বত্য উপদেষ্টা প্রথমে ক্ষতিগ্রস্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন। পরে উপদেষ্টা সহিংসতায় আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এসকে মার্কেট, বনরুপা কাটা পাহাড়, বনরুপা জামে মসজিদ, কাঠালতলী মৈত্রী বিহার পরিদর্শন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা), পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কঙ্কণ চাকমা, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, জেলা পুলিশ সুপার ড. ফরহাদ হোসেন, এ এস ইউ কমান্ডার লে. কর্নেল মোহাম্মদ আল মামুন সুমনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ইএইচ