হামিদা আক্তার নামে এক কলেজ ছাত্রীকে ফিল্মি স্টাইলে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই কলেজ ছাত্রীর সাবেক স্বামী রুহুর আমিনের বিরুদ্ধে।
হামিদা আক্তার উপজেলার জরিপেরচর গ্রামের হাবিব খানের মেয়ে ও মহিউদ্দিন আহেম্মেদ মহিলা ডিগ্রি কলেজের স্নাতকের ছাত্রী।
অভিযুক্ত মালয়েশিয়া প্রবাসী রুহুল আমিন দক্ষিণ বড় মাছুয়া গ্রামের মৃত আহমদ আলীর পুত্র। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রী হামিদা আক্তারের বাবা হাবিবুর রহমান মঙ্গলবার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দাম্পত্য জীবনে হামিদাকে তার স্বামী বিভিন্ন সময় মারধর করতো। এঘটনায় একাধিক সালিশ বৈঠক হলেও কোন সুরহা হয়নি। হামিদা মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ২০১৮ সালে ডিভোর্স দেন। এরপর ২২ সালে রুহুল আমিন শ্বশুর বাড়ি থেকে সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনার মামলা এখনও চলমান রয়েছে।
গ্রেপ্তার এড়াতে রুহুল আমিন বিদেশে চলে যান। সম্প্রতি রুহুল আমিন দেশে এসে সাবেক স্ত্রী হামিদাকে পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে। ওঁৎ পেতে থাকা রুহুল আমিন মঙ্গলবার দুপুরে হামিদাকে পৌর শহরের কৃষ্ণচূড়া ব্রিজ এলাকায় একা পেয়ে বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল ১০ জন লোক এসে ঘেরাও করে। পরে একটি মাইক্রোবাসে টেনে-হিঁচড়ে উঠিয়ে অপহরণ করে মুহূর্তে সিটকে পরে। প্রত্যক্ষদর্শীরা সরকারি সেবা ৯৯৯ ফোন দিলে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলেও কাউকে আটক করতে পারেননি।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন লিখিত অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
ইএইচ