মাগুরায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিক উল্লাহার নির্দেশে একই অফিসে কর্মরত উপসহকারী প্রকৌশলী শিমুল হুসাইনকে মারধরের অভিযোগে বদলি করা হয়েছে নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিক উল্লাহকে।
নির্যাতনের শিকার উপসহকারী প্রকৌশলী শিমুল হুসাইন জানান, ১৪ জুলাই আতিক উল্লাহ নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে মাগুরাতে যোগদান করেন। কিন্তু অধিকাংশ সময় জেলার বাইরে অবস্থান করতেন। আমি সকালে অফিসে গিয়ে নিজের কক্ষে বসে কাজ করছিলাম। এর মধ্যে দুপুর ১২টার সময়ে একই অফিসে কর্মরত আব্দুল আজিজ, মোমিন এবং নির্বাহী প্রকৌশলীর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত সিরাজসহ ৮-১০ জন আমাকে কিলঘুষি মারতে মারতে নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে উপস্থিত নির্বাহী প্রকৌশলী আতিক উল্লাহ আমার জামা-কাপড় খুলে অফিসের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখার নির্দেশ দিলে তারা মারতে মারতে আমার জামা এবং প্যান্ট খুলে ফেলেন।
এ সময় হাতজোড় করে সম্মানহানি না করতে অনুরোধ করলে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে অফিসের সহকর্মীরা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মাগুরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিক উল্লাহ বলেন, উপসহকারী প্রকৌশলী শিমুল এই অফিসের পূর্বের নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকের যোগসাজশে সরকারি অর্থ তসরুপের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। তিনি আমার অনুমতি ছাড়া অফিসের বেশকিছু গোপনীয় কাগজপত্র রাজশাহীতে (মাগুরার পূর্বতন নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে) প্রেরণ করেন। এর মাধ্যমে তারা সরকারি অর্থ লোপাটের সুযোগ পায়। বিষয়টি জানতে পেরে ১ অক্টোবর শিমুলকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়। এতে বেকায়দায় পড়ে সে আমার বিরুদ্ধে অফিসের অন্যদের ইন্ধন দিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করেছেন।
মাগুরা জেলার একজন ঠিকাদার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, মাগুরা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিক উল্লাহকে তাৎক্ষণিক বদলি করা হলো। এটা কোন সমস্যার সমাধান নয়। নতুন কর্মস্থল ঢাকাতে যোগদানের কথা থাকলেও এখনো তিনি মাগুরা ত্যাগ করেননি। যথাযথ কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া।
ইএইচ