কিশোরগঞ্জে হু হু করে বাড়ছে নিত্য পণ্যের দাম

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৪, ০৩:৪০ পিএম

কিশোরগঞ্জে হঠাৎ করে হু হু করে বেড়ে চলেছে চাল, ডাল, আটা, মসলা, ভোজ্যতেল, সবজি, মাছ, মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্য কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানালেন ক্রেতারা। এতে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের।

শনিবার জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে,বাজার করতে আসা ক্রেতারা নিত্যপণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। সব ধরনের পণ্য বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়,কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি দরে, পেঁয়াজ ১২০ টাকা, রসুন ২১০ টাকা, বেগুন ১৬০ টাকা, ফুলকপি ১৩০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, বরবটি শিম ১০০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, শসা ৭০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ১০০  টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আটা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, চিনি ১২০ টাকা, জিরা ৭২০ টাকা, মসুরি ডাল  ১১০ টাকা,  মটরের ডাল ১৪০ টাকা, চাল ৫০ থেকে ৮০ টাকা, সরিষার তেল প্রতি কেজি ২০০ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়।  

নিত্য প্রয়োজনীয় এসব পণ্যের দাম বাড়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্য ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষের মাঝে। দিনমজুরেরা আরো বেশি বিপাকে পড়েছেন। জীবনের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

কথা হয় বাজার করতে আসা সাইফুলের সঙ্গে।তিনি বলেন, যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে,এমন চলতে থাকলে দুদিন পরে আমাদের পথে বসতে হবে।না খেয়ে থাকতে হবে।

পুরানথানা বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আলম বলেন, হঠাৎ করেই বাজারের সব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে চালসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম। এ কারণে কাঁচা সবজির দাম চড়া।

মুরগি বিক্রেতা হাবিব জানান, বয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৮০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংস ব্যবসায়ী আলামিন জানান, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি হালি ৬০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ৮০ টাকা, হাঁসের ডিম৭০ থেকে ৭৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বাজারের মাছ বিক্রেতা সুমন জানান, সিলভার কার্প প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, মাঝারি রুই ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, পাঙাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, বড় চিংড়ি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, কাতল ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং মাছ ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা, কই মাছ ২০০ টাকা, বড় ইলিশ ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা, ছোট ইলিশ ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ভোক্তা অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক বলেন,কাঁচাবাজারের নির্ধারিত মূল্য না থাকায় তারা দাম বৃদ্ধি করে বিক্রি করছে।

বিআরইউ