কমিশন পুনর্গঠন করে নির্বাচন: ধর্ম উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২৪, ০৫:০১ পিএম

নির্বাচনের সংবাদ দিলেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসাইন।

সোমবার নগরের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বৌদ্ধ সমিতির এক অনুষ্ঠানে নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করা হবে। তবে দিন তারিখ মাস উল্লেখ না করলেও ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে নির্বাচন কমিশনকে সাজানো পর নির্বাচনের আয়োজন করবেন বলে তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশী বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয়গুরু, একুশে পদকে ভূষিত ত্রয়োদশ সংঘরাজ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবিরের শততম জন্মদিন সোমবার। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি অষ্টপরিস্কার সংঘদান ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

ভোটের সংস্কৃতি নষ্ট হয়ে গেছে উল্লেখ করে আ ফ ম খালিদ হোসাইন বলেন, জনগণ যাতে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে, তার ব্যবস্থা আমরা করবো। এতদিন ভোটের কালচারটা আমাদের সমাজ থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আমরা ভোটার লিস্ট হালনাগাদ করে, নির্বাচন কমিশনকে সাজিয়ে একটা সুষ্ঠু সুন্দর অবাধ নির্বাচন দেব।

‘শাসন করতে আসিনি, আগামী দিনে যারা শাসন করবে তাদের পথ খুলে দিতে এসেছি’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আপনারা আপনাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন। যারা জনগণের ম্যান্ডেড পাবে আমরা তাদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নেব। আমরা শাসন করতে আসি নাই, আগামী দিনে যারা শাসন করবে তাদের জন্য পথ খুলে দিতে এসেছি। আপনাদের সহযোগিতা দিতে চাই, আপনারা আমাদের হাতকে শক্তিশালী করুন।

বিভেদ সংঘাত দেশকে পিছিয়ে দেবে উল্লেখ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় রাষ্ট্রকে ফুল বাগানের মতো পরিচর্যার আহ্বান জানান ধর্ম উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি আগামীদিনের সুন্দর বাংলাদেশ চাই বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চাই তাহলে আমাদের একে অপরের হাত ধরে এগিয়ে যেতে হবে। বিভেদ আমাদের ধ্বংস করে দেবে, সংঘাত আমাদেরকে পিছিয়ে ফেলবে। আমাদের দেশ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ সাজানো বাগানের মতো। বাগানের ভেতরে যেমন বর্ণিল পুষ্পরাজি থাকে, কিছু সুগন্ধ আছে, কিছু সুগন্ধহীন দৃষ্টিনন্দন। এটাই বাগানের বৈচিত্র্য। আমাদের বাংলাদেশে হিন্দু বৌদ্ধ মুসলমান, খিষ্টান, নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠী আছে। এটা একটা বাগানের মতো। এটাকে আমাদের পরিচর্যা করতে হবে। লালন করতে হবে। আর নাহলে বাগানে ফুল ফুটবে না। বাগানের গাছ মারা যাবে। এই ঐতিহ্য পারষ্পরিক সৌহার্দ্য আমাদের লালন করতে হবে।

উপসংঘরাজ শাসনপ্রিয় মহাস্থবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও কেন্দ্রীয় বিএনপির উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া।

উদ্বোধন করেন প্রজ্ঞাসারথী প্রজ্ঞানন্দ মহাস্থবির। প্রধান জ্ঞাতি ছিলেন উপসংঘরাজ সদ্ধর্মবারিধি প্রিয়দর্শী মহাস্থবির। প্রধান সদ্ধর্মদেশক ছিলেন বিশ্বনাগরিক ড. ধর্মকীর্তি মহাস্থবির।

প্রফেসর তুষার কান্তি বড়ুয়া ও অধ্যাপিকা ববি বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- ইউএসটিসির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির চেয়ারম্যান অজিত রঞ্জন বড়ুয়া, সিনিয়ের ভাইস চেয়ারম্যান লায়ন আদর্শ কুমার বড়ুয়া, অনুষ্ঠান উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক সত্যপ্রিয় বড়ুয়া প্রমুখ।

ইএইচ