ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজবাড়ী জেলার ফিল্ড কানুনগোর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা হয়েছে। অভিযুক্ত কানুনগো জিয়াউল হক জিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বৈধ দোকান উচ্ছেদে আইনের অপপ্রয়োগ ও উৎকোচ দাবির অভিযোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে রেলওয়ের জমি বন্দোবস্ত নেয়া বোয়ালমারীর ব্যবসায়ীবৃন্দের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বোয়ালমারী পৌর শহরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সড়কে বৈধভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ের জায়গা বন্দোবস্ত নিয়ে প্রায় অর্ধশত ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে ল্যাবরেটরি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক, ডাক্তার চেম্বার, ফার্মেসি, মুদি দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছি। অথচ রাজবাড়ী জেলার রেলওয়ের কানুনগো জিয়াউল হক জিয়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাদের বৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের কথা বলে আমাদের কাছে মোটা অঙ্কের ঘুষ দাবি করে। এতে আমরা রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন সময় মাইকিং করে দোকানঘর উচ্ছেদের পাঁয়তারা চালায় এবং আমাদের কয়েক কোটি টাকা মূল্যের ব্যবসা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। ঘুষ না দেয়ায় সম্প্রতি লোক পাঠিয়ে অর্ধশতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লাল রং দিয়ে ক্রস চিহ্ন দিয়ে যায়। বৈধ উপায়ে সরকারি নির্ধারিত ফি দিয়ে আমরা জমি বন্দোবস্তের জন্য কাগজ নবায়ন করতে গেলে কানুনগো জিয়াউল হক জিয়া ঘুষ না পেয়ে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে।`
বক্তারা আরও বলেন, `এখনই অবৈধভাবে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করলে আমরা প্রায় অর্ধশত ব্যবসায়ী ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো, পরিবার পরিজন নিয়ে পথে বসতে হবে এবং সরকার হারাবে বৈধ রাজস্ব।`
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কানুনগো জিয়াউল হক জিয়া বলেন, `আমি জাল বা ভুয়া কাগজপত্র কাউকে করে দিলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবেন। যারা আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। মাত্র ৩২ জন লিজ গ্রহীতা বৈধভাবে লিজ নিয়েছেন। বাকিরা অবৈধভাবে দখলে আছেন।`
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আহাদুল করিম, মো. সেলিম শেখ, আবু সাঈদ, বিপ্লব, হাফিজুর প্রমুখ।
ইএইচ