সখীপুরে দুই শিক্ষক দম্পতির যমজ চার কন্যা পেলো জিপিএ ৫

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২৪, ০৪:১৫ পিএম

টাঙ্গাইলের সখীপুরে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে দুই শিক্ষক দম্পতির যমজ চারজন মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।

এতে তাদের পরিবারের পাশাপাশি এলাকার মানুষের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে। সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন এই মেধাবী শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার এইচএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হলিক্রস কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে তারা জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।

সখীপুর পৌর এলাকার আল আমিন মিয়া ও আফিয়া আক্তার দম্পতির সন্তান সামিয়া জাহান আফসানা ও সাদিয়া জাহান শাহানা সরকারি কুমুদিনী সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তারা পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষাতেও জিপিএ-৫ পেয়েছিল।

আবু জুয়েল সবুজ ও চায়না আক্তার দম্পতির সন্তান যারীন তাসনীম ও যাহরা তাসনীম হলিক্রস কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তারাও পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল।

শাহানা ও আফসানার বাবা সখীপুর উপজেলা জামায়াতের আমির আল আমিন মিয়া বলেন, আমরা দুজনই শিক্ষকতা পেশায় থাকার কারণে মেয়েদের সময় দিতে পারিনি। তবে মেয়েরা পড়াশোনার বিষয়ে খুবই মনোযোগী ছিল বলেই তারা ভালো ফলাফল অর্জন করেছে।

আল আমিন বড়চওনা কুতুবপুর কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং মা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

যারীন ও যাহারার বাবা আবু জুয়েল সবুজ বলেন, আমি মেয়েদের পড়ার জন্য চাপ দেইনি, তারা তাদের মতো পড়াশোনা করে ভালো ফল করেছে। যারীন তাসনিম ইঞ্জিনিয়ারিং এবং যাহরা তাসনিম মেডিকেল পড়তে ইচ্ছুক। তাদের বাবা আবু জুয়েল সবুজ সূর্য তরুণ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। তাদের মা চায়না আক্তার গজারিয়া শান্তিকুঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

আফসানা ও শাহানা বলেন, আমাদের ভালো ফলাফলে বাবা-মার পাশাপাশি শিক্ষকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমরা পড়াশোনায় সময়ের গুরুত্ব দিয়েছি বলেই ভালো ফল করতে পেরেছি। ভবিষ্যতে তারা দুজনই ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন।

যারীন ও যাহারা বলেন, আমরা নিয়মিত পড়াশোনা করেছি এবং পরিশ্রম অনুযায়ী সাফল্য পেয়েছি। আমরা যাতে সামনে বুয়েট এবং ঢাকা মেডিকেলে চান্স পেয়ে বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি সে জন্য দোয়া করবেন।

ইএইচ