লাগামহীন সবজির বাজার, দিশেহারা সাধারণ মানুষ

সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৪, ০৩:১৩ পিএম

গাইবান্ধার সাঘাটার বাজারগুলোতে সবজির চড়া মূল্যের কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে না পেরে ভোক্তারা নীরবে চোখের পানি ফেলছেন।

কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুন, করলা, ঝিঙা, পটোল, কচুরলতি, লাউ, মিষ্টিকুমড়াসহ সবই আছে। এরই মধ্যে বাজারে চলে এসেছে শীতের মৌসুমি শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলাসহ প্রায় সব ধরনের সবজি। নতুন সবজির প্রতি ক্রেতাদের বাড়তি আকর্ষণ থাকলেও আকাশছোঁয়া দামের কারণে এসব সবজির ধারে কাছেও যেতে পারছেন না নিম্নআয়ের মানুষরা।

তারা বলছেন, সরকার বদলেছে, তবে বাজার সিন্ডিকেট একই আছে। এই সিন্ডিকেটের কারণে জিম্মি সাধারণ ভোক্তারা। নিয়মিত বাজার মনিটরিং না হওয়ায় পণ্যের দাম বৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন ভোক্তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন ফুলকপি ও বাঁধাকপি পিস ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, বেগুন জাতভেদে ৭০ থেকে ৮০, কাঁচা পেঁপে ৩০ থেকে ৪০, পটোল ৬০, কচুরলতি ৮০, মুলা ৪০, আলু ৫৫ থেকে ৬০, টমেটো ১২০ থেকে ১৪০ এবং কাঁকরুল ৮০ টাকা, পুরি কচু ৬০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকা, দেশি রসুন ২৪০, চায়না রসুন ২২০ এবং কাঁচামরিচ ৩৫০থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সরকার ডিম ও মুরগির দাম নির্ধারণ করে দিলেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। বরং উল্টো দাম বেড়ে প্রতি হালি ডিম এখন ৬০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা, সোনালি এবং লেয়ার মুরগি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। মাছের বাজারে প্রতি কেজি পাবদা বিক্রি হচ্ছে  ৪৫০ টাকা, শিং ৪০০, কই ২০০ থেকে ২৪০, পাঙাশ ১৮০ থেকে ২০০, শোল ৬৫০, রুই ৩০০ ও কার্ফু ২৮০ টাকা। গরুর মাংস ৭০০ ও খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, সবজির বাজার অনেক দিন ধরেই বেশি। কিন্তু কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে বাজারে সবজির দাম আরও বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। পাইকারি বিক্রেতারা জানান, বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক সবজির ক্ষেত। এ কারণে বাজারে সবজি সরবরাহ কম হওয়ায় সব কাঁচাবাজার চড়াও দামে বিক্রি হচ্ছে।

ইএইচ