মামুনুল হক

১৬ বছর প্রতিশোধের রাজনীতি করেছে আওয়ামী লীগ

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২৪, ১২:১৭ এএম

ধর্ম-বর্ণ ভিন্নমত সবার জন্য খেলাফত প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ২০১৩, ২০২১ এবং চলতি বছরে গণহত্যার বিচার দাবি এবং নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় সরকারি হাজী হাসমত কলেজ মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ ভৈরব উপজেলা শাখার আয়োজনে গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ ভৈরব উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল্লাহ্ আল আমিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খেলাফতে মজলিসের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ, মওলানা আব্দুল আজিজ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকার গুজরাটের কসাই খ্যাত নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশে আনতে গিয়ে হেফাজতে ইসলামের ২৫ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিলেন। ১৬ বছর বাংলাদেশ প্রতিশোধের রাজনীতি এদেশকে ধ্বংস করার রাজনীতি করেছে আওয়ামী লীগ। লক্ষ লক্ষ টাকা বিদেশে পাচার করে তালাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে এদেশকে। বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য রেমিটেন্স যোদ্ধারা টাকা পাঠায় সেই টাকা লুটপাট করে বিদেশ পাচার করে শেখ হাসিনার মন্ত্রীরা বিদেশে বেগম পাড়া করে৷ সেই টাকা দেশে ফিরিয়ে এনে দেশের কাজে বিনিয়োগ করতে হবে। শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া নয় তার উদ্দেশ্যে ছিল তিলওয়ালী মূখ্যমন্ত্রী হওয়া।

বলেন- ১৯৭১ সালে লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার চেতনাকে ৭২ এর চেতনাতে রুপান্তর করেছিল। ৫০ বছর যাবত ৭১ চেতনা বাদ দিয়ে ৭২ এর চেতনা গেলাবার চেষ্টা করেছিল।

এ সময় তিনি আরও বলেন, পরাজিত শক্তি বসে নেই। তার বিদেশি ও দেশ বিরোধী চক্রের সহযোগিতা নিয়ে আবার বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কোনো দলের একক সম্পত্তি নয়, স্বাধীনতার নেতৃত্ব কোনো ব্যক্তির একক ইজারাদারি নয়। দেশের জাতির পিতা কোনো বিতর্কিত ব্যক্তি হতে পারে না। যারা ৫০ বছর যাবত এদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে গাদ্দারি করেছে। ১৯৭১ এর স্বাধীনতার চেতনাকে ছিনতাই করেছে। ১৫ বছর পর্যন্ত দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে, হাজার হাজার সন্তানদের হত্যা করেছে। এদের তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নৌকা ও আওয়ামী লীগ এদেশের মুসলমানরা মেনে নিবে না।

এ সময় তিনি বাংলাদেশের আগস্ট বিপ্লবের সংগঠিত শক্তি ও ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা আহ্বান জানান।

মওলানা উসমান গণি কাগজীর সঞ্চালনায় অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ কেন্দ্রীয় বাইতুলমাল সম্পাদক মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা মুহসিনুল হাসান, নরসিংদী জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুন নূর, কিশোরগঞ্জ জেলা মাওলানা আব্দুল করীম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাও. খন্দকার মুঈনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জুবায়ের আহমদ প্রমুখ।

আলোচনা শেষে ভৈরব কুলিয়ারচর আসন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীনকে প্রার্থী ঘোষণা করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক।

ইএইচ