ট্রায়াল দিতে গিয়ে শোরুম থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে যুবক উধাও

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৪, ০৩:০১ পিএম

ঢাকার আশুলিয়ায় অভিনব কায়দায় ক্রেতা সেজে শোরুমে এসে মোটরসাইকেল ট্রায়াল দিতে গিয়ে সিভিআর বাইক নিয়ে পালিয়ে গেছে এক চোর। এ সময় দুজনকে আটক করে রাখেন দোকান মালিক হেলাল মিয়া।

শুক্রবার বিকালে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ইয়ারপুর মধ্যে পাড়া এলাকার ভাই-ভাই মোটরস নামক শোরুমে এ চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

আটককৃতরা হলেন- চোরের সঙ্গে যাওয়া প্রাইভেটকার চালক লেবু মিয়া ও তার প্রতিবেশী দুলাল।

শোরুম মালিক মো. হেলাল জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে প্রাইভেট কারে ৩ জন মোটরসাইকেল কেনার জন্য শোরুমে প্রবেশ করেন। এদের মধ্যে একজন ছিল ছদ্মবেশী চোর। তিনি শোরুম ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন মোটরসাইকেল দেখতে থাকে। এক পর্যায়ে তার সিভিআর থাই মোটরসাইকেল পছন্দ হয়। পরীক্ষামূলকভাবে মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে সেটি রাস্তায় ফেলে দিয়ে মোটরসাইকেলের একটু ক্ষতি করে। পরে তিনি ফোন করে আরেকজন লোককে শোরুমে নিয়ে যান। এরপর তারা দামাদামি করে মোটরসাইকেলটির দাম ৬ লাখ ৫০,০০০ টাকা ঠিক করে। পরে তিনি আবারো মোটরসাইকেল ঠিক আছে কিনা দেখার জন্য ট্রায়ালে গিয়ে উধাও হয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ পার হয়ে গেলেও মোটরসাইকেল নিয়ে ফিরে না আসায় সঙ্গে যাওয়া প্রাইভেটকার চালক লেবু মিয়া ও তার প্রতিবেশী দুলালকে আটক করে রাখে শোরুম মালিক।

চোরের পরিচয় জানতে চাইলে প্রাইভেটকার চালক লেবু মিয়া বলেন, আমি জিরাবো বাসস্ট্যান্ডে রেন্টে কারে গাড়ি চালাই। আমাকে দুই হাজার টাকায় ভাড়া করে নিয়ে এসেছে বাইপাইল যাওয়ার জন্য। গাড়িতে যাওয়ার সময় তার পরিচয় জানতে চাইলে জানায় তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী দুর্গাপুর এলাকায় এবং তার বাবা ব্যবসা করেন। তিনি একটি মোটরসাইকেল কিনবে। তার সঙ্গে একটি ব্যাগ ছিল যার মধ্যে টাকা আছে বলে জানিয়েছিলো। পরে মোটরসাইকেল কেনার জন্য এই শোরুমে আসে। নামার সময় তিনি গাড়িতে ব্যাগটি রাখে এবং ব্যাগের ভেতরে টাকা আছে বলে জানায়। কিন্তু আমরা এখন ব্যাগ খুলে দেখলাম কোনো টাকা নাই শুধু কাগজপত্র। আমাকে ভুল বুঝিয়ে প্রতারণা করে শো রুমে বসিয়ে রেখে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়েছে।

আটকের বিষয়ে শোরুম মালিক হেলাল মিয়া বলেন, তারা ৩ জন একসাথে এসেছে এবং মোটরসাইকেল দরদাম করে একজন ট্রায়াল দিতে গিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সঙ্গে আসা বাকি দুজনকে আটক করেছি। মোটরসাইকেলের টাকা দিয়ে দিলে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

আশুলিয়া থানার ওসি মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, মোটরসাইকেল চুরির এমন ঘটনা আমার জানা নাই। তবে চুরির ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে মোটরসাইকেল উদ্ধারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইএইচ