বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অস্থায়ী গাড়ি চালক মামুনের বিরুদ্ধে একই উপজেলায় কর্মরত দরিদ্র মালীর কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে উত্ত্যক্ত ও যৌন হয়রানির চেষ্টা করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন এবং স্থানীয় সচেতন এলাকাবাসী।
যৌন হয়রানির ঘটনায় বগুড়া জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই মেয়ে। সেই সাথে ইউএনও অফিসে কর্মরত প্রশাসনিক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম কর্তৃক ওই মালীকে তার বাড়ি থেকে বের দিয়ে চাকরিচ্যুত করার ষড়যন্ত্রসহ কর্মচারীদের সাথে অসৎ আচরণ করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সাধারণ জনতা।
রোববার বেলা সাড়ে ১২টায় মানববন্ধন উপজেলা চত্বর প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদের সামনে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে অবস্থান নেয়।
এ সময় অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তির দাবি জানান মানববন্ধনে অংশ নেয়া বক্তারা।
যৌন হয়রানির ঘটনায় অভিযুক্ত মামুনের সাথে যোগাযোগ করতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তা রিসিভ করেন না।
অপরদিকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, ঘটনার বিষয়ে তিনি মোবাইল ফোনে কিছু বলতে রাজি হননি। তবে তিনি দৈনিক আমার সংবাদ প্রতিনিধিকে তার অফিসে চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়েছেন।
এ ঘটনায় শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী মুহসিয়া তাবাসসুম দৈনিক আমার সংবাদকে জানান, অস্থায়ী গাড়ি চালক মামুনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তা হাতে পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরদিকে উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কেউ কোন অভিযোগ দেননি।
ইএইচ