অভয়নগরে দিনে গরম রাতে শীত: বাড়ছে অসুস্থতা

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৪, ০৬:০৬ পিএম

যশোরের অভয়নগরে শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। দিনে গরম আবহাওয়া থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় শীতের অনুভূতি।

ভোরে ফসলের মাঠে, খোলা মাঠের ঘাসের ওপর চিকচিক করে শিশির ফোটা। রাতভর টিপটিপ করে শিশির পড়ে। রাতে ফ্যানের পরিবর্তে নিতে হয়, কাঁথা কিংবা হালকা কম্বল।

রোববার সকাল ছয়টার দিকে দেখা যায়, ২৩ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে।

উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের একতারপুর গ্রামের গ্রামতলা এলাকার শাহ্ আলম শেখ বলনে, আমাদের এলাকায় ঠান্ডা শুরু হয়ে গেছে। গভীর রাত থেকে শুরু হয় কুয়াশা এবং ফজরের নামাজের পর পর্যন্ত সেই কুয়াশা থাকে। দিনদিন কুয়াশা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাতে শীতের কারণে আপাতত কাঁথা বের করা হয়েছে।

এদিকে দিনে গরম এবং রাতে শীতের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগী। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালের বিভিন্ন কক্ষে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মেঝে বা বারান্দায় স্থান নিয়েছেন অনেক রোগী।

শীতের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে স্থানীয় মানুষজন শীতের কাপড় বের করতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে রাতে পথচারী ও মোটরসাইকেল চালকদের শীতের কাপড় পরতে দেখা যায়।

নওয়াপাড়া বাজারের লেপ-তোশক দোকানদারদের কর্মব্যস্ততাও বেড়ে গেছে। অনেকে শীতের আগেই শীতের কাপড় এবং লেপ-তোশক তৈরি করে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

উপজেলার নওয়াপাড়া বাজারের বাংলাদেশ বেডিং হাউজের মালিক আবুল হোসেন বলনে, প্রতিবছর এই সময়ে আমাদের কাজের চাপ বেড়ে যায়। এবারো আমাদের ব্যস্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কাপড় ও তুলার দাম বেশি হওয়ায় আগের মতো ভিড় নেই। অনেকে সাধ্যের মধ্যে লেপ বানানোর অর্ডার দিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিজানুর রহমান আমার সংবাদকে বলনে, অন্য এলাকার তুলনায় কিছুটা আগেভাগেই শীত শুরু হয়েছে। আর ঋতু পরিবর্তনের সময় সাধারণত শিশু ও বয়স্করা নানান রোগে আক্রান্ত হয়। এমন রোগীর সংখ্যা হাসপাতালে বেড়ে গেছে। সীমিত জনবলের মধ্যেও আমরা যথাসাধ্য চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

ইএইচ