টাঙ্গাইলের নাগরপুরে নিজেকে সমন্বয়ক দাবি করা মাহির ফয়সাল (২৫) নামেরে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে নাগরপুর থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম।
থানা পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- বৃহস্পতিবার রাতে মাহিরের মা শামীমা আক্তারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা যায় মাহির এলাকার বাজে ছেলেদের সাথে চলাফেরা করে। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে মারামারিও করে এবং গত ২৪ অক্টোবর নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে। মাহিরের মা এসব করতে বাঁধা দিলে সে উত্তেজিত হয়ে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ও নিজের মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে সে খুন করার উদ্দেশ্য হাতের কাছে থাকা কাঠের চলা দিয়ে তার মায়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে এবং পরে ঘরে থাকা বটি দা নিয়ে খুন করতে গেলে ভয়ে দৌড়ে অন্য বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
পরবর্তীতে মাহিরের মা নিজে বাদী হয়ে ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অন্যদিকে মাহির নিজেকে নাগরপুরের সমন্বয়ক দাবি করে সদর বাস স্ট্যান্ডের কলা ব্যবসায়ী মো. শুভ মিয়ার (১৭) কাছে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
শুভ চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় মাহির ছাত্রছাত্রী নিয়ে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা করবে বলে হুমকি দেয় এবং তাকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুসি মারে। একপর্যায়ে কলা কাটার কাস্তে দিয়ে শুভর কপালে রক্তাক্ত জখম করে এবং পরবর্তীতে আহত শুভর ভাই সবুজ মিয়া বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে বলে জানা যায়।
নাগরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন- মাহির ফয়সাল নেশাগ্রস্ত হয়ে তার মাকে মারধর করেন এবং সে নাগরপুর বাস স্ট্যান্ডের কলা ব্যবসায়ী শুভ মিয়ার নিকট সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। শুভ চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে কাস্তে দিয়ে গুরুতর জখম করে। এমতাবস্থায় মাহিরের মা শামীমা আক্তার বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মাহির ফয়সালকে গ্রেপ্তার করে মামলা দায়ের করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ইএইচ