লামায় ইটভাটা বন্ধ হলে বেকার হবেন অর্ধ লক্ষাধিক শ্রমিক

আদিল আহামেদ চৌধুরী, লামা (বান্দরবান) প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম

পার্বত্য জেলার বান্দরবানের লামা উপজেলায় রয়েছে ৪০টির মতো ইটভাটা রয়েছে।

এসব ইটভাটায় কাজ করেছেন অর্ধ লক্ষাধিক শ্রমিক। এর সঙ্গে উন্নয়নও জড়িত রয়েছে। এ উপজেলার ইট ছাড়া সমতল জেলা থেকে পরিবহণ করে এনে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ইটের বিকল্প এখনো পরিপূর্ণভাবে কিছু গড়ে উঠেনি।

গত ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এক বিবৃতিতে বলেন, দেশের সমস্ত অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে হবে। পরিবেশ বান্ধব ব্লক ইট তৈরি করার নির্দেশাও দেওয়া হয়।

শনিবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পার্বত্য জেলাতে মোটেই ইটভাটা করতে দেয়া হবে না। এমন সিদ্ধান্তে ইটভাটা বন্ধ হলে সীমান্ত সড়ক নির্মাণ কাজসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে চলমান কয়েক হাজার কোটি টাকার সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন থমকে যাবে। এতে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ ভেস্তে যাওয়ার পাশাপাশি উন্নয়ন বঞ্চিত হবে লামা উপজেলা ও অন্যান্য উপজেলায় শত কোটি টাকার ক্ষতি হবে ইটভাটা মালিকদের। শক্ত প্রভাব পড়বে পাহাড়ের উন্নয়নমূলক কাজে। বেকার হয়ে পড়বে এ পেশায় নিয়োজিত লক্ষাধিক শ্রমিক।

তাই আগামী ৬ মাস পর্যন্ত ইটভাটা চালুর রাখার ব্যবস্থা গ্রহণে পরিবেশ বন ও জলবায়ু উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন জেলার ঠিকাদার, নির্মাণ শ্রমিক, ইটভাটার শ্রমিক ও পরিবহণ সমিতির নেতৃবৃন্দসহ পার্বত্য লামাবাসী।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় ঠিকাদার, নির্মাণ শ্রমিক, ইটভাটা ও পরিবহণ সমিতির নেতৃবৃন্দরা এ দাবি তুলে ধরেন।

লামায় ফাইতং ইউনিয়ন ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন ও অন্যান্য ভাটা মালিকরা জানান- ইটভাটা বন্ধ হলে বেকার হয়ে পড়বে অর্ধ লক্ষাধিক শ্রমিক। শত কোটি তাকার ক্ষতি হবে ইটভাটা মালিকদের।

জানতে চাইলে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম চৌং বলেন, সরকারিভাবে ইটভাটা বন্ধে নির্দশেনা রয়েছে। ১৭ অক্টোবর থেকে বৃহস্পতিবার লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের বিভিন্ন ইটভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় আইন অমান্য করে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ইএইচ