কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের ৬নং ওয়ার্ড এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত কালী মন্দিরের জায়গা দখল করে রেখেছে হিন্দু ধর্মাবলীর তিন দখলবাজ ভাই।
অবশেষে সাড়ে তিন বছর পূর্বে মামলা দায়ের পর আদালতের রায়ের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে দখল মুক্ত হলো সাদেকপুর গ্রামের পাঁচশত হিন্দু ধর্মাবলীর প্রার্থনার স্থান কালি মন্দিরের জায়গা।
রোববার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের ৬নং ওয়ার্ড এলাকার কালি মন্দিরের জায়গা উদ্ধারের জন্য উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
সাদেকপুর কালি মন্দির কমিটির সভাপতি দিলীপ সরকার বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর পর অবৈধ দখলবাজদের হাত থেকে কালি মন্দিরের ৩ শতাংশ জায়গা আজ আদালতের রায়ের মাধ্যমে দখল মুক্ত হলো। দীর্ঘ বছর ধরে জায়গা বেদখল থাকায় মন্দিরের কোন উন্নয়নমূলক কাজ করা যায়নি। এখন আর কোন বাঁধা রইলো না। আজকের দিনটি আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের ৫ শত পরিবারের অত্যন্ত আনন্দের দিন। সেজন্যই দেশের সরকারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
এ বিষয়ে ভৈরব সহকারী জজ আদালত বাজিতপুর চৌকির নাজির নাঈম চৌধুরী জানান, সাদেকপুর কালি মন্দিরের ৩ শতাংশ জায়গা অবৈধভাবে দখল করে আসছিলো তাদেরই সম্প্রদায়ের তিন ভাই। গত সাড়ে তিন বছর পূর্বে দখলের অভিযোগে মন্দির কমিটির সভাপতি বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলার রায়ে মন্দিরের জায়গা দখলকৃতদের কাছ থেকে উচ্ছেদ করে উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা আদালতের রায় বাস্তবায়নে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছি।
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় করেন ভৈরব সহকারী জজ আদালত বাজিতপুর চৌকি নাজির নাঈম চৌধুরী।
এ সময় অভিযানে সহযোগিতা করেন, ভৈরব থানার এসআই মো. তোফায়েল আহমেদ, ভৈরব সহকারী জজ আদালত, বাজিতপুর চৌকি প্রসেস সার্ভেয়ার মো. নজরুল ইসলাম, আমিন কমিশনার মাহবুরুর রহমান, ঢলি আশেক আলী প্রমুখ।
ইএইচ