কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে নিখোঁজের ৬ দিন পর মাটিচাপা দেয়া এক গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ।
রোববার উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের বাইশগাঁও গ্রামের ডাকাতিয়া নদীর শাখা নদনা খালের পাড় থেকে মাটি খুঁড়ে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে ওই গৃহবধূ ছয়দিন ধরে নিখোঁজ আছেন বলে এলাকায় প্রচার করেন তাঁর স্বামী। নিহত গৃহবধূর নাম আইরিন আক্তার (২৮)।
গৃহবধূ আইরিনের স্বামী সেলিম মিয়া পরিবারসহ খালপাড়ের নতুন বাড়িতে থাকতেন। তাদের মূল বাড়ি উপজেলার লক্ষণপুর ইউনিয়নের মড়হ গ্রামে।
নিহত আইরিন উপজেলা সদরের দিশাবন্দ গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে। তার তিন বছর বয়সী একটি ছেলে ও সাত বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। প্রায় ৯ বছর আগে সেলিমের সঙ্গে পারিবারিকভাবে আইরিনের বিয়ে হয়।
ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক থাকায় শ্বশুর-শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
আইরিনের মা ছায়েরা খাতুন বলেন, নিখোঁজের আগের দিন ২০ অক্টোবর বিকালে মেয়ের বাড়ি থেকে তিনি আসেন। ২১ অক্টোবর সকালে সেলিম মুঠোফোনে জানান, আইরিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি জানার পর ওই দিন থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। সেলিম আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য মারধর করতো। সেলিম ও তার পরিবার মিলে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই।
মনোহরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপুল চন্দ্র দে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন লাকসাম সার্কেল সোমেন মজুমদার।
ইএইচ