বরগুনার বামনা উপজেলার আমতলী গ্রামের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে পানির গ্লাস ভেঙে কয়েক দফায় মাথায় আঘাত করে হত্যারচেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ওই নেতার নাম সুদেব হাওলাদার (৩৫)। সে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ আমতলী গ্রামের জীতেন্দ্রনাথ হাওলাদারের ছোট ছেলে। ভুক্তভোগী ওই কর্মকর্তা বর্তমানে কাঠালিয়া উপজেলা কৃষি অফিসে কর্মরত আছেন। তার বাড়ি বামনা উপজেলার সদরের আমতলী গ্রামে।
এদিকে বামনা থানায় মামলা দায়ের করার পর সময় অতিবাহিত হলেও অভিযুক্ত প্রধান আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে না পারায় আমতলী ও রুহিতা গ্রামের জনগণ দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সভা ও মানববন্ধন করেছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় আমতলী গ্রামের রুহিতা আমতলী সফিপুর সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের (আখড়াবাড়ি) সম্মুখ সড়কে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মানববন্ধনে দুই গ্রামের প্রায় শতাধিক নারী পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, হামলায় গুরুতর আহত কৃষি কর্মকর্তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক বীরেন্দ্রনাথ হাওলাদার, রুহিতা আমতলী সফিপুর হিন্দু কল্যাণ নবারুণ সংঘের সভাপতি নির্ঝর কান্তি বিশ্বাস ননী, সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ হাওলাদার, ভুক্তভোগীর স্ত্রী শিপ্রা রানী, প্রতিবেশী সঞ্জীতা রানী, সমাজসেবক মো. রনি খান, মনোতোষ হাওলাদার, তাপস বেপারী প্রমুখ।
মানববন্ধনে আগত সকলের দাবি আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া।
এ ব্যাপারে বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হারুন অর রশিদ হাওলাদার বলেন, গত ১২ অক্টোবর দুপুরে আখড়াবাড়ি মন্দিরের সামনে ঘটনাটি ঘটার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। রাতে মামলা নিয়ে একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে পাঠাই। মামলার ৪ জন আসামির মধ্যে ৩ জন বর্তমানে জামিনে মুক্ত আছেন। প্রধান আসামি বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ইএইচ