ঈশ্বরদীতে আমনের বাম্পার ফলনের আশা

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৪, ০৩:১৬ পিএম

ঈশ্বরদীতে মাঠজুড়ে শুধু সবুজ আর সবুজ ধানের ক্ষেত। যে দিকেই দু-চোখ যায় শুধু সবুজের সমারোহ। ফসলের মাঠ যেন সবুজ চাদরে ঢাকা। চারিদিকে যেন এক অপরূপ দৃশ্য।

মাঠে মাঠে হাওয়ায় দুলছে আমন ধানের সবুজ পাতা, শিষ আর কৃষকের মন। আর কিছুদিনের মধ্যেই সোনালি ধানের শিষে ঝলমল করে ভরে উঠবে কৃষকের শূন্য গোলা।

আমন ধানের ক্ষেতগুলোকে নিয়ে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের ফলন ভালো হবে বলে স্থানীয় কৃষক ও কৃষি বিভাগের সাথে কথা বলে জানা গেছে।

ঈশ্বরদী কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। ধানের চারা লাগানোর সময় শুধু সেচ দিতে হয়েছে। এরপর আশ্বিন মাসজুড়ে কয়েকদফা বৃষ্টিতে ধানের জমিগুলোতে পর্যাপ্ত পানি থাকায় নতুন করে পানি সেচ দিতে হয়নি। এতে ধান আবাদে কৃষকদের খরচও কম হয়েছে।

এবারে ব্রি ৮৭, ব্রি-৪৯, ব্রি-৫১-৫২, ব্রি-৯৫, ব্রি-১০৩, বিনা-১৭, ও বিনা-৭, জাতের আমন ধানসহ বিভিন্ন জাতের আমন ধান চাষ হয়েছে।

বর্তমানে আমন ধানের ক্ষেতগুলোতে ধানের শিষ বের হয়েছে। আবার কিছু ধানের ক্ষেতে ধানের শিষে সোনালি রঙ ধরেছে। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ধান কাটা যাবে।

কৃষক আদম আলী, আফসার, শরিফুল, হান্নান, আজমত শেখসহ কয়েকজন জানান, এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই আশানুরূপ বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে ধান আবাদে চারা লাগানোর সময় ছাড়া আর পানি সেচ দিতে হয়নি। ফলে এবারে খরচ কম হয়েছে। ফলনও ভালো হবে।

উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের আড়মবাড়িয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল আলিম বলেন, কৃষি বিভাগের নির্দেশনায় আমরা মাঠপর্যায়ে আমন ধানের চারা রোপণ থেকেই কৃষককে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি। আশ্বিন মাসজুড়ে বৃষ্টি হওয়ায় ধানের গাছ ও ফসলের জন্য ভালো হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিতা সরকার আমার সংবাদকে বলেন, কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা কৃষকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে পরামর্শ দিচ্ছেন। কৃষকদের ধানের ক্ষেতের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন। বিক্ষিপ্তভাবে হওয়া ধানের রোগ ও পোকার আক্রমণ তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। এবিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

ইএইচ