চৌগাছায় পল্লী বিদ্যুতের নতুন সংযোগ বন্ধ, বিপাকে গ্রাহকরা

চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৪, ০৩:১৫ পিএম

যশোরের চৌগাছায় প্রায় ছয়মাস ধরে নতুন বিদ্যুৎ মিটারের সংযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে আবেদন জমা দিয়ে দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

বিদ্যুৎ অফিস সংশ্লিষ্টদের দাবি, সার্ভিস তার ও মিটারের অভাবে লাইন দিতে পারছেন না তারা। তবে শিগগিরই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির।

উপজেলার বর্ণী গ্রামের সোহেলী বেগম বলেন, ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। অন্তসত্ত্বা এই প্রবাসীর স্ত্রীর অভিযোগ একদিকে নিজে অসুস্থ অন্যদিকে বাসায় বিদ্যুৎ নেই। তিন মাস ধরে অফিসে ঘুরছে তিনি। একটি নতুন অবেদন করবেন বলে। কিন্তু তার আবেদনই অফিস নিচ্ছে না। অসুস্থ অবস্থায় নিজ বাড়ি থেকে ১০/১২ কিলোমিটার জার্নি করে ফিরে যেতে হচ্ছে তার। এতে খুব ভোগান্তি হচ্ছে তার।

অফিসে উপস্থিত আরও ককেজন গ্রাহকের একই অভিযোগ।

তারা বলেন, অজানা কারণে দীর্ঘদিন থেকে নতুনভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছি না। বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলেও সেখান থেকে জবাব আসে না। এতে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রভাষক আজিজুর রহমান বলেন, আমি একটি নতুন বাসা নির্মাণ করেছি। পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের সকল শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও নতুন আবেদন করতে পারছি না। অফিসে যোগাযোগ করেছি, অফিস বলছে বর্তমানে নতুন আবেদন নেওয়া হচ্ছে না।

বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, ছয় মাস থেকে সার্ভিস তার ও মিটারের অভাবে চৌগাছায় নতুনভাবে মিটারের সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

একটি সূত্র বলছে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্দোলন এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতি কারণে একটি শ্রেণি বর্তমান সরকারকে হেনস্তা করার জন্য সংযোগের তার ও মিটার সরবরাহ বন্ধ রেখেছেন।

এছাড়া গ্রাহকদের অভিযোগ, বাড়তি বিল আদায় করা হয়। একই পরিষেবা নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে অনেককে দ্বিগুণ বিল গুণতে হচ্ছে। অভিযোগ করলেও সমাধান মিলছে না।
শহরের হজরত আলীর নামের একজন গ্রাহক বলেন, আগে কয়েক মাসে ১১শ টাকা করে বিল আসতো। এখন ১৬ হাজার টাকার ওপরে বিল আসছে। এ বিষয়ে অভিযোগ করলেও সমাধান পাচ্ছি না। দিন দিন বিল বাড়ছেই।

যশোর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর চৌগাছা জোনাল অফিসের ডিজিএম বালি আবুল কালাম বলেন, আবেদন এখনও পাচ্ছি। মিটার ও সংযোগ তার সরবরাহ না থাকার কারণে নতুন সংযোগ বন্ধ রয়েছে। গ্রাহক ইচ্ছা করলে আবেদন করতে পারবেন। তবে গ্রাহকের স্বার্থে বর্তমানে আবেদন করতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। নভেম্বর মাসের মধ্যে এই সংকট কেটে বলে জানান তিনি।

ইএইচ